আসন্ন রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়সীমার মধ্যে রাখতে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুস শহীদ। এসময় মজুতদারদের ব্যাপারে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ৩ নম্বর শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামে ‘ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সারা দেশের কৃষকদের সঙ্গে উঠান বৈঠকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী সব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ এমপি বলেন, বাংলাদেশ একটি কৃষি নির্ভর দেশ, কৃষক হলো দেশের প্রাণ, কৃষকদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে। কৃষি উন্নয়নে নানান পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আমরা তা বাস্তবায়ন করবো। যে পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে সে অনুযায়ী কাজ করলে এই দেশে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি মজবুত হবে। কৃষিমন্ত্রী আরো বলেন, আমরা অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে কেবিনেটের পাঁচজন মন্ত্রী বসেছিলাম যাতে চালের দাম বৃদ্ধি না হয়, প্রয়োজনে মজুদদারদের জেলে পাঠানোর ব্যবস্থা নিবো। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এদের বিরুদ্ধে আমরা আইনের ব্যবস্থা নিবো।
মন্ত্রী আরো বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেছি, উঠান বৈঠকের মাধ্যমে কৃষি উন্নয়নে দেশের সকল কৃষকদের কাছে পৌঁছে যাব। দেশের প্রতিটি এলাকায় উঠান বৈঠক করে দেশের কৃষকের সমস্যা নিরসনে কাজ করাই আমার মূল লক্ষ্য। মন্ত্রী, জেলার কৃষি বিভাগকে নির্দেশনা দেন, সকল পতিত জমি চিহ্নিত করে কোন কোন পতিত জমিতে কী ফসল হবে, কীভাবে চাষের আওতায় আনা যাবে তার জন্য একটি কর্মপরিকল্পনা আগামী ৫০ দিনের মধ্যে তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠাবেন। এবং সে কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আয়োজিত উঠান বৈঠক অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু তালেব। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজার জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ, অতিরিক্ত উপ পরিচালক নিলুফার ইয়াসমিন মোনালিসা সুইটি, শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ বিনয় ভূষণ রায়, ৩ নং শ্রীমঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দুদু মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অর্ধেন্দু কুমার দেব। উঠান বৈঠকে কৃষকদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া এবং কৃষকদের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে বক্তব্য দেন কৃষক ইন্দু ভূষণ পাল নীরু, উত্তম দেবনাথ, আতর আলী, মুহিবুর রহমান, মো. হাবিবুর রহমান। এ সময় উঠান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সরকারের কৃষিদপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।