প্রতিবারের মতো এবারও সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দেশের বেশ কিছু জায়গায় পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। এসব এলাকার মুসলমানরা সৌদি আরবের সঙ্গে একই দিন রোজা শুরু করেন; একই দিন ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপন করেন।

আজ বুধবার (১০ই এপ্রিল) সকালে দিনাজপুরের ৬টি উপজেলায় ৫০টি জামাতে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছে মুসল্লীরা। দিনাজপুর শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টার ২ শতাধিক মুসল্লী ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন। এই জামাতে ঈমামতি করেন মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক।

এছাড়াও দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার সাইতাড়া, বিরল উপজেলার কামদেবপুর ও কাজিপাড়া, কাহারোল উপজেলার জয়নন্দ ও গড়েয়া এবং বিরামপুর উপজেলায় দুইটি গ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় বিচ্ছিন্নভাবে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

জেলায় ১৩টি উপজেলার মধ্যে ৬টি উপজেলার কয়েক হাজার পরিবার সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদ পালন করছেন।

এদিকে, সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে সাতক্ষীরা বিভিন্ন স্থানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকালে সাতক্ষীর সদর উপজেলার ভাড়ুখালী পাঞ্জাখানা মসজিদে মাওলানা মাহবুবুর রহমানের ইমামতিতে এই ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

এছাড়া সাতক্ষীরা সদরের বাউকোলা পূর্বপাড়া জামে মসজিদে মাওলানা ঈদের নামাজ আদায় করেন মহিলাসহ ৪০ থকে ৫০ জন মুসল্লি। এবছর জেলা সদরের ভাড়ুখালী, বাউকোলা, তলুইগাছা, তালার ইসলামকাটি, কলারোয়ার সোনাবাড়িয়া, পাইকগাছা, খলিল নগর এলাকার মুসল্লিরাও আজ ঈদ পালন করেছে।

শরীয়তপুরের ২০ টি গ্রামে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। ১৯২৮ সাল থেকে ১০০ বছর ধরে সুরেশ্বরী দরবার শরীফের ভক্ত ও অনুরাগীরা ঈদ উদযাপন করে আসছেন। বুধবার (১০ ই এপ্রিল)  সকাল সাড়ে ৯ টায় নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বর দরবার শরীফ ময়দানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সারাদেশে সুরেশ্বর পাক দরবার শরীফের কয়েক লাখ ভক্ত ও অনুরাগী রয়েছেন। সুরেশ্বরী দরবার শরীফের এসব ভক্ত ও অনুরাগীরা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে বাংলাদেশের এক দিন আগেই রোজা ও ঈদ পালন করেন। এর মধ্যে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বর, কেদারপুর, চাকধ, চণ্ডিপুর ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ দারাগড়সহ ২০ গ্রামের প্রায় ২০ হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে পবিত্র ঈদুল ফিতর পালন করছেন।

টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে ঈদ উদযাপন করেছে এক গ্রামের মানুষ। উপজেলার শশীনাড়া গ্রামের অন্তত ৪০টি পরিবার এ ঈদ উৎসব পালন করছে।

আজ বুধবার সকাল ৮ টায় স্থানীয় মসজিদ মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার লাউহাটী ইউনিয়নের শশীনাড়া গ্রামের কিছু মুসুল্লি ২০১২ সাল থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও ঈদ পালন করে আসছে।

বুধবার সকাল ৮ টায় স্থানীয় মসজিদের মাঠে ঈদের নামাজ আদায় করেন ওই গ্রামের প্রায় ৪০টি পরিবারের পুরুষ সদস্যরা। ঈদের নামাজ পড়ান হাফেজ এরশাদ হোসেন। নামাজ শেষে বিশ্বের মুসলিম উম্মার জন্য দোয়া করা হয়।

ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছে কয়েকটি গ্রামের মুসল্লিরা।

বুধবার সকাল সাড়ে ৭ টায় হরিণাকুন্ডু উপজেলা শহরে ফুটবল মাঠ এলাকায় এ ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপজেলার শিঙ্গা, শিতলী, ভালকী ও পায়রাডাঙ্গাসহ কয়েকটি গ্রামের শতাধিক মুসল্লিরা শরিক হন। ইমামতি করেন ঈদ জামাত কমিটির সভাপতি বজলুর রহমান। এছাড়াও উপজেলার পায়রাডাঙ্গা ও নিত্যানন্দপুরেও ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়েছে।