ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। এ অবস্থায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশকে সহায়তায় ৪ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্য মোতায়ন করা হয়েছে। রোববার (২৬ জানুয়ারি) দিনগত রাতে বিজিবি মোতায়েনের কথা জানিয়েছেন বাহিনীটির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ এফ রহমান হল, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক ও হাজি মুহম্মদ মুহসীন হলের সামনে সতর্ক অবস্থান নিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। অপর দিকে নীলক্ষেত, নিউমার্কেট এলাকায় অবস্থান করছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
ঢাবি ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ঘটনাস্থলে গেলেও শিক্ষার্থীরা তার বিরুদ্ধে ‘ভুয়া’ ‘ভুয়া’ স্লোগান দেন।
এর আগে সন্ধ্যা ৬টার দিকে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী মিরপুর রোড সড়ক অবরোধ করেন। এতে সায়েন্সল্যাব, নীলক্ষেত মোড় ও এলিফ্যান্ট রোডসহ আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
জানা গেছে, সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের ৫ দফা দাবির অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন। এর জেরে শিক্ষার্থীরা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সায়েন্সল্যাবে সড়ক অবরোধ করেন।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো:
১. ২০২৪-২৫ সেশন থেকেই সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় অযৌক্তিক কোটা পদ্ধতি বাতিল করতে হবে।
২. শ্রেণীকক্ষের ধারণক্ষমতার বাইরে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো যাবে না।
৩. শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে হবে।
৪. ভর্তি পরীক্ষায় নেগেটিভ মার্ক যুক্ত করতে হবে।
৫. সাত কলেজের ভর্তি ফি’র স্বচ্ছতা নিশ্চিতে মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করে ঢাবি ব্যতীত নতুন অ্যাকাউন্টে ভর্তি ফি’র টাকা জমা রাখতে হবে।