প্রতিযোগিতার দৌড়ে প্রাণ খুলে হাসার সময়টাই যেন হারিয়ে গেছে আমাদের। তার ওপর আবার কাজের চাপ। ফলে বড়ছে স্ট্রেস, মানসিক অবসাদ। হঠাৎই হতে পারে মন খারাপ। তবে মন খারাপ হলে শুধু মনের উপরই প্রভাব পড়ে না। তার প্রভাব পড়ে কাজ-কর্ম বা নিজের অনুভূতির ওপরও। আস্তে আস্তে এটি শরীরেরও ক্ষতি করে। তাই যতটা সম্ভব মন খারাপ না করে হাসি-খুশি থাকা উচিত। তবে কিছু পন্থা অবলম্বন করলে মনটা সহজেই ভালো করা যায়। আসুন জেনে নেই

১. পছন্দের কেউ বা পুরোনো বন্ধুকে ফোন করে গল্প করুন।

২. লিভিং রুমে গান ছেড়ে দিয়ে খানিকক্ষণ নাচুন।

৩. রেস্টুরেন্টে যান। নিজেকে পছন্দের কোনো খাবার খান। ইউটিউব দেখে পছন্দের কিছু একটা রান্না করে ফেলুন। নিদেনপক্ষে ১ কাপ চা বানিয়ে বারান্দায় বসে খান।

৪. চোখেমুখে পানির ঝাপটা দিন।

৫. ফুল কিনুন। সাজিয়ে রাখুন।

৬. চট করে বাইরে থেকে ঘুরে আসুন।

৭. প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরুন।

৮. বাচ্চাদের সঙ্গে সময় কাটান।

৯. এমন কিছু করুন, যাতে বোঝা যায় যে আপনি মানুষটা দয়ালু। যেমন, প্রতিদিন যে আপনাকে রান্না করে খাওয়ান, আজ না-হয় তাঁকেই তাঁর পছন্দের কিছু একটা রান্না করে খাওয়ালেন। অথবা, রাস্তার কয়েকটা শিশুকে নিয়ে শিশুপার্কে রাইডে চড়ালেন। ইত্যাদি।

১০. রোদে, প্রকৃতির সংস্পর্শে সময় কাটান।

১১. পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটান।

১২. প্রিয় মানুষের সঙ্গে সময় কাটান।

১৩. গান শুনুন।

১৪. ব্যায়াম করুন।

১৫. এমন কিছু করুন, যা সচরাচর আপনি করেন না। যেমন একদিন না হয় বাইরে বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে বাড়ি ফিরলেন।

১৬. আপনি কোন কোন কারণে কৃতজ্ঞ, তার একটা তালিকা তৈরি করুন।

১৭. আপনার জীবনের সমস্ত ভালো, সফলতার মুহূর্তগুলো ভাবুন।

১৮. মজার ভিডিও দেখুন। হাসুন।

১৯. ঘরবাড়ি গুছিয়ে রাখুন।

২০. বাড়তি জামাকাপড় বা জিনিসপত্র কাউকে দিয়ে দিন।

২১. পুরোনো ছবি দেখুন।

২২. অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য বা পডকাস্ট শুনতে পারেন।

২৩. বড় করে শ্বাস নিন। ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়ুন। ধ্যান করুন।

২৪. নিজের জন্য কিছু করুন। নিজেকে কিছু একটা উপহার দিন। অনেক দিন ধরে কিনতে চাচ্ছেন, এমন কিছু একটা কিনে ফেলুন।

২৫. বেশি খারাপ লাগলে কাঁদুন। পানি খান। কাছের কারও সঙ্গে মনের অবস্থা ভাগ করে নিন।