বগুড়ায় মাইক্রোবাস চালক নুরুল হক হত্যা মামলায় ৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে (৮ই নভেম্বর) বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক হাবিবা মন্ডল এই রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন শাহিন, ইলিয়াস হোসেন, শাহাজুদ্দিন, নজরুল ইসলাম, রাসেল মিয়া, আমির হামজা,। পলাতক আসামী জালাল গাজী, রোকেয়া বেগম এবং শাহিনুর রহমান। এসময় তিনজন আসামী পলাতক ছিলেন। অপর ৬ জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের দোসরা জুলাই সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শেরপুর উপজেলার মির্জাপুরের একটি আম বাগানের পুকুর থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের হাত-পা গামছা দিয়ে বাঁধা ছিল।
এ ঘটনায় শেরপুর থানার তৎকালীন এস আই সেরাজুল ইসলাম অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা করেন। পরে নিহতের পরিচয় পায় পুলিশ।
নিহত নুরুল হক সুনামগঞ্জের আমবাড়ি বাজার এলাকার শওকত আলীর ছেলে। সে পেশায় মাইক্রোবাস চালক। তিনি ঢাকা থেকে যাত্রীসহ কুড়িগ্রামের উদ্দেশ্যে মাইক্রোবাস নিয়ে বের হন। যাত্রীবেশী ছিনতাইকারীরা তাকে হত্যা করে মাইক্রোবাস ছিনতাই করে।
সেই সূত্র ধরে পুলিশ কুড়িগ্রাম থেকে শাহীন, রাসেল এবং নজরুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার এবং বাকি আসামিদের নাম প্রকাশ করে। ২০১৮ সালে নয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগ পত্র জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।