বাংলাদেশকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদন দুই দেশের সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত দেশটির নতুন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।

সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তারা।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান উপস্থিত ছিলেন ।

সালমান এফ রহমান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনটি সঠিক নয়। এসব রিপোর্ট মানুষের কাছ থেকে শুনে করা হয়েছে।’

এর জবাবে হাস বলেন, ‘সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে আমরা মানবাধিকার প্রতিবেদন তৈরি করি। নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই এটি করা হয়। তবে বাংলাদেশকে নিয়ে এই প্রতিবেদন দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে না।’

এর আগে গত রোববার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের জানান, যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদন বিষয়ে ব্যাখা চাইবে বাংলাদেশ।

সোমবারের বৈঠকে মানবাধিকার প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনার পর জ্বালানি ও অন্যান্য খাতে মার্কিন বিনিয়োগ নিয়ে পিটার হাসের সঙ্গে কথা বলেন সালমান এফ রহমান।

এসব খাতে মার্কিন বিনিয়োগ বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

এ বিষয়ে রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, ‘এটি একটি সফল বৈঠক ছিল। দুই দেশের অর্থনীতির সহযোগিতার বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি।’

প্রসঙ্গত, গত ১২ এপ্রিল প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদনে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমালোচনা করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিপীড়ন ও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও ব্যাপকভাবে দায়মুক্তি ভোগ করে আসছে বলে খবর রয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক নিপীড়ন, হত্যা ও দুর্নীতির খুব কম সংখ্যক ঘটনায় তদন্ত ও বিচারের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।

এ ছাড়া প্রতিবেদনে রাজনৈতিক দলগুলোর উপর গুরুতর এবং অযৌক্তিক বিধিনিষেধ, সরকারি দুর্নীতি; দেশীয় মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে হয়রানির অভিযোগ আনা হয়েছে।