জনগণ যাতে সহজে ন্যায়বিচার পায় সেজন্য বিচারক ও আইনজীবীদের কাজ করার আহবান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। তিনি বলেন, দেশের মানুষের জন্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই দেশ স্বাধীন হয়েছে এবং বিচারের দীর্ঘসূত্রতার কারণে তাদের মনে যেন কোনো ভুল ধারণা তৈরি না হয়।

আজ শনিবার (১৫ জুলাই) ময়মনসিংহ জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে বিচার প্রার্থীদের জন্য ন্যায়কুঞ্জের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন প্রধান বিচারপতি।

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, ‘আদালত ও আইনজীবীরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে মামলাজট কমাতে হবে। দেশটা স্বাধীন হয়েছে মানুষের ন্যায়বিচারের জন্য আর যারা বিচারপ্রার্থী হয়ে আসেন তারাই দেশের মালিক। যে ভাবেই হোক আমাদের বিচারিক সেবা দিতে হবে। যদি কাউকে ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় বছরের পর বছর আদালতের বারান্দায় ঘুরতে হয় এবং বিচার না পায় তাহলে তিনি ভুল বুঝতেও পারেন যে দেশে বিচার নাই। আমরা এটা হতে দিতে পারি না। এ জন্য দেশ স্বাধীন হয়নি। যে উদ্দেশ্যে মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ রক্ত দিয়েছেন সে রক্তের ঋণ পরিশোধ করে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।’

প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ‘২০২২ সালে ময়মনসিংহে সবচেয়ে বেশি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছিল আর এবারেও তাই হয়েছে। এজন্য ময়মনসিংহের বিচারকদের কর্মদক্ষতার জন্য ময়মনসিংহ প্রথম বিচারপতি পুরস্কার লাভ করেছে।’

পরে প্রধান বিচারপতি জাজেস গার্ডেনে চন্দন গাছের চারা রোপণ, চিফ জুডিসিয়াল আদালত ভবনে বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপন, বিচারকদের সাথে মতবিনিময় ও দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন ও আইনজীবীদের সংবর্ধনায় মতবিনিময় করেন।

এ সময় আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. জাকির হোসেন, জেলা জজ মমতাজ পারভীন, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মমিনুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক মুস্তাফিজার রহমান, পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভুঁঞা, আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুলসহ বিপুল সংখ্যক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।