বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মায়ামীতে যথাযথ মর্যাদায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়। এ উপলক্ষ্যে ১৫ আগস্ট মঙ্গলবার কনস্যুলেটের কর্মকর্তারা, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী ও আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণে কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সমবেত জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হয় এবং কনস্যুলেটের পক্ষ থেকে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশীগণ ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকেও জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করা হয়।
এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্ট শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। ৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সংঘটিত বর্বরোচিত হত্যাকান্ডের শিকার শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।অনুষ্ঠানে কোরআন তেলাওয়াত পাঠ করেন পিও মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ।
অনুষ্ঠানের পরবর্তী পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর জীবনের উপর নির্মিত একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় ১৫ আগস্টের তাৎপর্য তুলে ধরে।
উপস্থিত বক্তারা বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও পরবর্তীতে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকার কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তরুণ প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
প্রধান আলোচককনসাল জেনারেল ইকবাল আহমেদ তাঁর বক্তব্যে ‘৭৫-এর ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকান্ড ও সে সময় প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর বোনের বিদেশে থাকার কারণে প্রাণে বেঁচে যাওয়া এবং পরবর্তী ঘটনা প্রবাহের বর্ণনা প্রদান করেন।
এসময় আরো বক্তব্য দেন ফ্লোরিডা স্টেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাঈম খান দাদন, সহ সভাপতি আবদুল কাদের, ঈমন করিম, সাংগাঠনিক সম্পাদক লিটন মজুমদার, যু্গ্ম সম্পাদক সালাম চাকলাদার ও দপ্তর সম্পাদক সাইফুল আযম বাবু, প্রচার সম্পাদক মিল্টন মজুমদার, শেখ বাবুল, ফজলুর রহমান।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ভাইস সিজি সামাঊন খালিদ।