দুর্নীতির অভিযোগে বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল আজিজ আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আমেরিকা। সোমবার ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এ তথ্য প্রকাশ করে। এদিকে অবসরের তিন বছর পর আমেরিকার এমন সিদ্ধান্তে মর্মাহত ও অবাক হয়েছেন সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। তিনি বলেন অসত্য তথ্যের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমেরিকা।
সেনা প্রধান পদ থেকে অবসরের তিন বছর পর দুর্নীতির অভিযোগে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়লেন জেনারেল আজিজ আহমেদ। আমেরিকার পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে মঙ্গলবার আজিজ আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত প্রকাশ করা হয়।
এতে বলা হয়, আজিজ আহমেদ তার ভাইকে বাংলাদেশে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহি এড়াতে সহযোগিতা করেন। এটি করতে গিয়ে তিনি দেশের নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপের মাধ্যমে দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন। এছাড়া তিনি নিজের স্বার্থের জন্য সরকারি নিয়োগের বিনিময়ে উৎকোচ নিয়েছেন।
এই খবর প্রকাশের পর ঢাকার মিরপুরের ডিওএইচএস’এ তার বাসায় সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন সাবেক সেনা প্রধান। বলেন, অবসরের তিন বছর পর এ ধরনের নিষেধাজ্ঞার খবরে অবাক ও মর্মাহত হয়েছেন তিনি। নিষেধাজ্ঞায় যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা ভিত্তিহীন দাবি করেন সাবেক সেনা প্রধান।
তিনি বলেন এই তার নিষেধাজ্ঞা ব্যক্তিগত হলেও আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তিনি গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকায় সরকারকেও হেয় করা হয়েছে। ২০২১ সালে আল-জাজিরায় প্রচারিত তথ্যচিত্র ও মার্কিন নিষেধাজ্ঞা একই সূত্রে গাঁথা।
এদিকে, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত আজিজ আহমেদের বিষয়ে আমেরিকা যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তা আগেই সরকারকে জানানো হয়েছিল বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
আমেরিকার ভিসানীতি ও জেনারেল আজিজের ওপর নিষেধাজ্ঞা এক নয় বলে জানান পরারষ্ট্রমন্ত্রী।