মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর ইমিগ্রেশন বিভাগ বুধবার (৯ জুলাই) জালান পেতালিংয়ের একটি পতিতালয়ে অভিযান চালিয়ে ১০ বাংলাদেশি নারীসহ উদ্ধার ১৪ জন বিদেশি নারীকে উদ্ধার করেছে, তারা জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তির শিকার বলে ধারণা করা হচ্ছে।

কুয়ালালামপুর অভিবাসন পরিচালক ওয়ান সৌপি ওয়ান ইউসুফ বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ৯ জুলাই ‍দুপুর সোয়া ১টায় অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়া।

উদ্ধারকৃত নারীদের বয়স ১৮ থেকে ৩৬ বছরের মধ্যে। এদের মধ্যে ১০ জন বাংলাদেশি, তিনজন ভারতীয় এবং একজন ইন্দোনেশীয় নারী রয়েছেন।

ভুক্তভোগীদের একজন দাবি করেছেন, সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর তার প্রেমিক তাকে ‘বিক্রি’ করে দিয়েছে। তারপর সেখানে তাকে পতিতাবৃত্তির জন্য বাধ্য করা হয়েছিল।’

এক বিবৃতিতে মোহাম্মদ সৌপি ওয়ান ইউসুফ বলেন, অভিযানের সময় বেশ কয়েকজন খদ্দের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিল।

তিনি জানান, ধারণা করা হচ্ছে পতিতালয়টি সকাল ১০টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত খোলা থাকে এবং পথচারীদের খদ্দের হিসেবে টার্গেট করে।

এ ঘটনায় ২০০৭ সালের মানব পাচার ও অভিবাসী চোরাচালান বিরোধী আইনের ১২ ধারার অধীনে তদন্তে সহায়তা করার জন্য তিনজন স্থানীয় ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। তাদের ওই ভবনের তত্ত্বাবধায়ক বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জেআইএমের বিবৃতিতে জানানো হয়, অভিযানে সেখানে থাকা ১৬ জন পুরুষ খদ্দেরকেও আটক করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ৯ জন নেপালি, দুইজন বাংলাদেশি এবং পাঁচজন মিয়ানমারের নাগরিক রয়েছেন।