বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিতে চায় মালয়েশিয়া এবং সরকার পাঠাতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। পাশাপাশি তিনি জানান, দেশটিতে অবস্থান করা বাংলাদেশিদের মধ্যে যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ, তাদের নতুন মেয়াদের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া শুরুর ঘোষণা দেবে দেশটি।

বৃহস্পতিবার (২১শে জুলাই) তিন দেশ সফর শেষে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাকিদের মুখোমুখি এসব কথা জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকুবের সঙ্গে দেখা করলে তাঁদের শ্রমিক প্রয়োজন বলে জানান। আমি তাঁকে জানাই, বাংলাদেশ শ্রমিক দিতে প্রস্তুত। তবে এদেশের শ্রমিকরা যেন কোনো ধরনের বৈষম্যের শিকার না হয় এবং শ্রমিক কল্যাণের বিষয়টি যাতে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়। এই শর্তে আমরা শ্রমিক পাঠাব। কোনো শ্রমিকের সঙ্গে বৈষম্য করা হবে না এবং তাঁদের সুযোগ-সুবিধা দেখা হবে বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী জানতে চান, আমাদের শ্রমিক কবে নাগাদ যাবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের মিশনের সঙ্গে আলাপ করলে তারা জানায়, সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে যাবে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এ মুহূর্তে তাঁদের শ্রমিক খুবই দরকার।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মালয়েশিয়া বলছে এতগুলো এজেন্সি থেকে তারা লোক নিলে ব্যবস্থাপনায় অসুবিধা হতে পারে। সেজন্য তারা নির্দিষ্ট কিছুকে নির্ধারণ করেছে। আমরা বলেছি, আপনারা যেভাবে চান নির্ধারণ করেন। শুধু আমাদের শ্রমিকদের কল্যাণের দিকটি খেয়াল রাখবেন তাঁরা যাতে নির্যাতিত না হয়।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, মালয়েশিয়ায় যেসব বাংলাদেশি শ্রমিকের ওয়ার্ক পারমিটের মেয়াদ শেষ হয়েছে বা শেষ হওয়ার পথে, তাঁদের মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী।

এদিকে রাজধানীর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বৈশ্বিক জ্বালানি সংকট আমাদের নাগরিক দায়িত্ব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেন দেশে বিদ্যুতের অভাব নেই। বিদ্যুৎ উৎপাদনের যথেষ্ট সক্ষমতা আছে দেশে। আমরা বিদ্যুতের জন্য অগ্রণী একটি ব্যবস্থা নিয়েছি। এটা ইচ্ছে করেই নিয়েছি, যেন আগামীতে সমস্যা না হয়।

তিনো আরো বলেন, যুদ্ধের কারণে বিভিন্ন দেশ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এতে নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তবে আমি ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আমাদের ভোজ্যতেল দেবে। আর বিদ্যুৎ নিয়ে আমাদের আরও সাশ্রয়ী হতে হবে। আগে আমরা ঘর থেকে বের হয়ে যাওয়ার পরে লাইট ফ্যান বন্ধ করে বের হতাম। আপনাদের প্রতি অনুরোধ আপনারাও বিদ্যুৎ সাশ্রয় করবেন।