প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার অভিযোগ, ‘নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার মিথ্যাচার করেন। কোনও এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য ইসি নিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কথা বলেন। বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি পাঁচতারকা হোটেলে ‘ভোটার তালিকায় পিতা-মাতার পরিচয়হীনদের তালিকাভুক্তির সমস্যা ও করণীয়’ বিষয়ে কর্মশালার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এই মন্তব্য করেন তিনি।

গতকাল (৫ জানুয়ারি) পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন পর্যবেক্ষণ শেষে মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘ভোটযুদ্ধে যুদ্ধ আছে, ভোট নেই।’ এছাড়া তিনি নিজেদের দায় স্বীকারমূলক মন্তব্যও করেন। এ নিয়ে সিইসির প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘উনি তো সবসময়ই এরকম বলেন। মিডিয়ায় প্রচারের জন্য একেক সময় একেকটা শব্দ চয়ন করেন। এগুলো অপ্রাসঙ্গিক কথা, অপ্রচারমূলক কথা। নির্বাচন কমিশনকে অপবাদ দেওয়া কথা।’

সিইসি’র কথায়, ‘ভোটযুদ্ধ আছে ভোট নেই যে বলা হলো, তাহলে ৭৫ শতাংশ ভোটার কোত্থেকে আসে? টেলিভিশনে দেখেছেন, নারী-পুরুষ দীর্ঘক্ষণ সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে ভোট দেন। তাহলে এরা কারা? এরা কি ভোটার নন? সুতরাং উনার কথায় কোনও সঙ্গতি নেই।’

কেএম নূরুল হুদা বলেন, ‘উনি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এ ধরনের কথা বলেন। হয়তো উনার কোনও এজেন্ডা আছে, সেটি বাস্তবায়নের জন্য নির্বাচন কমিশনকে হেয় করতে এমন কথা বারবার বলেন। এটা মিথ্যাচার, অপ্রাসঙ্গিক অপবাদ। উনি মিথ্যা কথা বলেন।’

সাংবাদিকদের অন্য এক প্রশ্নে সিইসি’র উত্তর, ‘নির্বাচনে সহিংসতা ও মৃত্যুর দায় নির্বাচন কমিশনের নয়, এই দায় প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের। সহিংস ঘটনাগুলো ঘটেছে কেন্দ্রের বাইরে। আমরা তাদের বারবার সহনশীল হতে বলি।’

সিইসি’র ভাষ্য, ‘আমরা প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের জন্য মর্মাহত। এগুলো অপ্রত্যাশিত। আমরা এগুলো চাই না। প্রার্থীদের আমরা বারবার অনুরোধ করি– নির্বাচন হবে প্রতিযোগিতামূলক, প্রতিহিংসাপরায়ণ কিংবা রক্তপাত নয়।’

কেএম নূরুল হুদা মনে করেন, ‘প্রশাসনিক দুর্বলতার কারণে সহিংসতা হচ্ছে। পুলিশও অনেক সময় ভুক্তভোগী হচ্ছে, হতাহত হচ্ছে। তারা ধৈর্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে থাকে।’