প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শুধু স্বাধীনতা সংগ্রামেই নয়, পরবর্তীতে দেশ পুনর্গঠন এবং রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জীবন সাথী হিসেবে ফজিলাতুন নেছা মুজিবের মত একজন নারীকে পেয়েছিলেন বলেই বাঙালির সংগ্রাম সফল হতে পেরেছে। তার ত্যাগের আদর্শকে ধারণ করে দেশের নারী সমাজকে মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাওয়ায় আহ্বানও জানান প্রধানমন্ত্রী। সোমবার (৮ই আগস্ট) বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক প্রদান অনুষ্ঠানে এসব বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, আমার মা ছিলেন বাবার ছায়াসঙ্গী। তিনি বাবার আদর্শ ধারণ করেছিলেন। প্রতিটি কাজে বাবাকে সহযোগিতা করেছেন, তার পাশে ছিলেন।
তিনি বলেন, বাবা টাকা এনে মায়ের কাছে দিতেন, মা এই টাকা সংসারে খরচ করতেন। নেতাকর্মীদের জন্য বিনা দ্বিধায় খরচ করতেন। অনেকসময় নিজের গহনা বিক্রি করেও নেতাকর্মীদের জন্য টাকা দিয়েছেন।
সরকারপ্রধান বলেন, বাবা বারবার কারাগারে যেতেন। কিন্তু কখনও বাবাকে সংসারের ব্যাপারে চিন্তা করতে দেননি। বলতেন, আমি সব দেখব, তোমার চিন্তা করতে হবে না। বাবা মানুষের অধিকার নিয়ে কাজ করতেন বলেই মা তাকে ফ্রি করে দিতেন।
শেখ হাসিনা বলেন, শেখ ফজিলাতুন নেছার মতো একজন আদর্শ সহধর্মিণী পাওয়া বঙ্গবন্ধুর জন্য সৌভাগ্য ছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি এটুকুই বলব, আমাদের দেশের নারী সমাজ, তারাও যেন এই আদর্শটা ধারণ করে যে শুধু চাওয়া পাওয়া বিলাসিতা- এটাই জীবন না। একটা মানুষের জীবনে মানুষের কল্যাণে কাজ করার অনেক সুযোগ আছে। কিন্তু একটা আদর্শ নিয়ে চললে মানুষের জন্য অনেক অবদান রাখা যেতে পারে।
আমার মা, তার এই মহান আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে… আমার বাবা যে মহৎ অর্জন করেছেন, স্বাধীন বাংলাদেশ, সেটাই কিন্তু তিনি দিয়ে গেছেন। আমাদের দেশের নারী সমাজকে এই আহ্বানই করব, এই আদর্শ নিয়ে ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে মানুষের কল্যাণে সবাই কাজ করবেন, সেটাই আমি চাই।