আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মিউনিখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গাজায় যুদ্ধের বিরুদ্ধে ও শান্তির পক্ষে জোরালো বক্তব্য রেখেছেন। সবচেয়ে বেশি জোরালো বক্তব্য- যেটা আগে কোনো নেতা এই দুঃসাহস দেখাতে পারেননি ‘স্টপ জেনোসাইড ইন গাজা’। এখানে শেখ হাসিনার সাহসী কূটনীতিই আমরা দেখলাম।

মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে শেখ হাসিনাকে নিমন্ত্রণ ও বক্তব্যে অংশ নেওয়া বাংলাদেশের গুরুত্বকেই তুলে ধরে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বাংলাদেশে একটা সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই নির্বাচন নিয়ে সমালোচনামুখরও ছিল বহির্বিশ্বের একটা অংশ। তারপরও আজকে এই সংকটে সিকিউরিটির মতো সেনসেটিভ ইস্যুতে নিমন্ত্রণ করা ও গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যে অংশ নেওয়া বাংলাদেশের গুরুত্বকেই তুলে ধরে।

নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার বসে নেই জানিয়ে তিনি বলেন,  কিছু কিছু জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, আবার কিছু কিছু অন্যের দাম কমতির দিকে। বাজার ওঠানামা চিরদিনই আছে। বিশ্ব প্রতিক্রিয়ায় দ্রব্যমূল্য বাড়ছে বলে সরকার এখানে কোন উদাসীনতা দেখায়নি। সক্রিয় আছে, সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে নেই- যা করণীয় অবশ্যই করছি।

এসময় তিনি বলেন বাংলাদেশ নিজেদের ভূমি, সীমান্ত রক্ষায় সদা জাগ্রত। মিয়ানমানের অস্থিরতার জন্য নিরাপত্তা ঝুঁকি সীমান্তে থাকতে পারে। এবিষয়ে প্রস্তুত আছে বাংলাদেশ।

জাতীয় পার্টির বিষয়ে তিনি বলেন সংসদে জাতীয় পার্টি বিরোধী দল হয়ে আছে, এর বাইরে যারা একটা জাতীয় পার্টি করতে চাইছে সেটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। আমরা এনিয়ে মাথা ঘামানোর দরকার নেই। তাদের জন্য সংসদে কোন প্রভাব পড়বেনা।

তিনি বলেন বিএনপির রাজনীতিতে মিথ্যাচার চিরজীবনই অপরিহার্য বিষয়। তাদের সাথে জনগণ নেই, তারা হতাশার মধ্যে আছে। তারা কথা বলে বিরোধী দল হয়ে থাকতে চাচ্ছে।

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে সমালোচনা মুখর ছিলো কিছু দেশ। নিরাপত্তা সম্মেলনের মতো কোন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো বাংলাদেশের গুরুত্ব তুলে ধরে। গাজার গণহত্যা নিয়ে সাহসী বক্তব্য রেখেছেন তিনি। ইউরোপের কোন রাষ্ট্রনেতাও তা করতে পারেননি।