রাজধানীর বিভিন্ন রাস্তায় ছাত্র-জনতার ঢল নেমেছে। ঢাকার চিত্র সম্পূর্ণ পাল্টে গেছে। লাখো মানুষের মিছিল মুখরিত রাজপথ।সোমবার (৫ আগস্ট) সকালে যাত্রাবাড়ী, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, বাড্ডা, উত্তরা, মিরপুরসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভের খবর পাওয়া যায়। পরে বেলা বাড়তে থাকলে মিছিল নিয়ে মানুষ শাহবাগমুখী হন।
মিরপুরে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমেছেন। মিরপুরের পল্লবী, ১১ ও ১১ নম্বর থেকে মিছিল নিয়ে মানুষ ১০ নম্বর সেকশনে জড়ো হন। সেখান থেকে তাঁরা আগারগাঁওয়ের দিকে রওনা দিয়েছেন।
রাজধানীর উত্তরা থেকে বনানী অভিমুখে আগিয়ে আসছেন আন্দোলনকারীদের একটি দল। সেখানে থাকা প্রতিবেদক জানিয়েছেন, শিক্ষার্থী-অভিভাবক ছাড়াও স্থানীয় মানুষ রয়েছে ওই দলে। তারা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। বিক্ষোভকারীরা বেলা দেড়টার দিকে বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল পার হয়ে সামনের দিকে যাচ্ছেন।
এর আগেই অবশ্য আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বিকেল ৩টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। সে সময় পর্যন্ত জনসাধারণকে সহিংসতা পরিহার করে ধৈর্য ধারণ করার অনুরোধ করা হয়।
এদিকে দেশজুড়ে ব্রডব্যান্ড ও মোবাইল ইন্টারনেট সচল হয়েছে। সোমবার (৫ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে প্রথমে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ও পরে মোবাইল ইন্টারনেট চালু করে দেওয়া হয়।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। তার আগে রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে মোবাইল ইন্টারনেট তথা ফোর-জি কাভারেজ বন্ধের নির্দেশ দেয় সরকার।
অবশ্য ইন্টারনেট সচল হলেও এখনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম চালু হয়নি।
জুলাইয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতা-গুলিতে বিপুল সংখ্যক লোকের প্রাণহানি হলে সরকারবিরোধী আন্দোলনে নামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। গত শনিবার (৩ আগস্ট) তারা সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি দেয়।
এরপর গত রোববার (৪) অসহযোগ আন্দোলন চলাকালে দেশজুড়ে প্রায় একশ মানুষের প্রাণহানি হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলনকারীরা সোমবার ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ডাকে। এই কর্মসূচি ঘিরে শাহবাগ এলাকায় জড়ো হচ্ছেন তারা।