বাংলাদেশ সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সামরিক বাহিনী ও বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের তীব্রতা বেড়েই চলছে। এতে আতংক বাড়ছে বাংলাদেশের টেকনাফ ও নাইক্ষ্যংছড়ির গ্রামগুলোতে। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলিতে ৩ বাংলাদেশি আহত হয়েছে। এরমধ্যেই তুমব্রু সীমান্তের বিজিবি ক্যাম্পে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর  ৫৩ জন সদস্য।

মিয়ানমার হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার দ্বারপ্রান্তে দেশটির সামরিক বাহিনী। বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো দখলে নিচ্ছে একের পর এক শহর। যুদ্ধের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায়ও। গেল কয়েকদিনে মিয়ানমার থেকে কয়েকটি মর্টার শেল এসে পড়েছে কক্সবাজার ও বান্দরবান সীমান্তের বাংলাদেশ অংশে। উখিয়া-টেকনাফ সীমান্তেও বিরাজ করছে অস্থিরতা। ভয়ে এলাকা ছাড়ছে ঘুমধুম ও তুমব্র“ সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা।

আজ (রোববার) সকাল থেকে নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু এবং উখিয়ার পালংখালী ও টেকনাফের হোয়াইক্যং এর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলিতে এদিন আহত হন একজন বাংলাদেশি। এসবের মধ্যেই তুমব্র“ সীমান্তের বিজিবি ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ৫৩ জন সদস্য। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতে পালিয়ে এসেছে তারা।

মিয়ানমারের এসব সীমান্তরক্ষী আত্মরক্ষার্থে অস্ত্র জমা দিয়ে বিজিবি ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তাদের দেশে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

এর আগে শনিবার সীমান্তের একটি স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা সিএনজিচালিত অটোরিকশার ওপর গুলি এসে লাগলে ভেঙে যায় অটোরিকশার সামনের গ্লাস। তবে অল্পের জন্য রক্ষা পায় চালক। আতংক ছড়িয়ে পড়ায় সীমান্তঘেষা এলাকার পাঁচটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

চলমান এ পরিস্থিতিতে সীমান্তে কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়েছে বিজিবি। সীমান্তে বিজিবির সাথে কাজ করছে পুলিশও। রোহিঙ্গাদের সম্ভাব্য অনুপ্রবেশ নিয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকার পাশাপাশি সীমান্তে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি।