মিয়ানমারের সংঘাতময় রাখাইন রাজ্য আবারও উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় উদ্বেগে আছেন ওই সীমান্ত এলাকার বাংলাদেশের নাগরিকরা। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির তীব্র লড়াই চলছে। এর জেরে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের এপারেও গুলি এসে পড়ছে।

গোলার শব্দে নির্ঘুম দিন-রাত কাটছে সীমান্তবর্তী টেকনাফ, উখিয়া ও নাইক্ষ্যংছড়ির মানুষের। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে সীমান্ত এলাকায় থাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। বিজিবি’র সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বাহিনীর মহাপরিচালক।

কিছুদিন ধরে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর সাথে সরকারবিরোধী সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির তীব্র লড়াই চলছে। যার প্রভাব পড়ছে সীমান্তের এপারে বাংলাদেশের টেকনাফ, উখিয়া ও নাইক্ষ্যংছড়িতে।

এসব এলাকার বাসিন্দারা  জানিয়েছেন, গত এক সপ্তাহ ধরে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ পাচ্ছেন তারা। এখন পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে বেশ কয়েকটি মর্টার শেল ও এক রাউন্ড গুলি এসে বাংলাদেশ অংশে পড়েছে বলেও জানিয়েছে তারা। ফলে আতঙ্ক বিরাজ করছে এলাকাগুলোতে। বন্ধ রাখা হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মর্টার শেল ও এক রাউন্ড গুলি আসার নিন্দা জানিয়ে প্রতিবাদলিপি পাঠিয়েছে বিজিবি। বিষয়টিতে সরকার নজর রাখছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

সীমান্তে উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিজিবি সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ.কে.এম নাজমুল হাসান।

২০২১ সালে ক্ষমতা দখলের পর দমন-পীড়নের মাধ্যমে ক্ষমতা ধরে রাখলেও এবার বিদ্রোহীদের আক্রমণে অনেকটা বেসামাল মিয়ানমারের সামরিক সরকার। সেনাবাহিনীর কাছ থেকে  রাখাইনসহ সব রাজ্যের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীরা। এরইমধ্যে তিনটি রাজ্যের ২৫টি শহরের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে সেনাবাহিনী। পাশাপাশি রাখাইন, চিন এবং শান রাজ্যের চার শতাধিক সামরিক ঘাঁটি দখলে নিয়েছে সরকারবিরোধীরা।