পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশে-মিয়ানমার সীমান্তের শূন্য রেখায় যেসব রোহিঙ্গা ক্যাম্প ছিল, তা এখন আর নেই। কিছু রোহিঙ্গা ঢুকে পড়েছে। তবে আমরা অফিসিয়ালি আর কোনো রোহিঙ্গাকে আর গ্রহণ করব না।

আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আরসা এবং আরএসও এর নিজেদের সংঘাতে শূন্য রেখায় ক্যাম্পগুলো জ্বালিয়ে দেয়ায়, সেখানে আর কোন রোহিঙ্গা থাকলো না। এটা এক দিক দিয়ে ভালোই হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, জিরো লাইনে যারা অবস্থান করতো, তারা মাদকের সাথে সম্পৃক্ত থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হতো বাংলাদেশ। সেই সমস্যার এখন সমাধান হয়েছে বলেও দাবী তার। এর আগে বাংলাদেশে মনোনীত চার দেশের অস্থায়ী রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতেই তাদের সঙ্গে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। সকালে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আসেন ৪ দেশের অস্থায়ী রাষ্ট্রদূত এবং ৩ দেশের অস্থায়ী হাইকমিশনার।

চার অস্থায়ী রাষ্ট্রদূত হলেন: কিউবার আলেজান্দ্রো সিমানকাস মারিন, সার্বিয়ার সিনিসা প্যাভিক, মেক্সিকোর ফেদেরিকো সালাস লোটফি এবং বেলজিয়ামের দিদিয়ের ভ্যান্ডারহাসেল্ট। আর তিন হাইকমিশনার হলেন: ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর ড. রজার গোপাউল, ঘানার কোয়াকু আসোমাহ-চেরেমেহ এবং কিংডম অফ ইসওয়াতিনির মেনজি সিফো ডালমিনি।

এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের স্বাগত জানিয়ে দ্বিপাক্ষিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

এদিকে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে তারা নিজ নিজ দেশের পরিচয়পত্র পেশ করেন।