মিরপুর শেরে-বাংলা স্টেডিয়ামের পিচকে ‘অসন্তোষজনক’ আখ্যা দিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থা-আইসিসি। পিচ ও আউটফিল্ড পর্যবেক্ষণ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে মিরপুরকে একটি ডিমেরিট পয়েন্টও দিয়েছে আইসিসি।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে মোট ৩৬টি উইকেটের পতন হয়, যার মধ্যে ৩০টিই গেছে স্পিনারদের ঝুলিতে। বিশেষ করে পিচের আচরণ থেকে সহায়তা পেয়েছেন স্লো পেস কিংবা স্পিন বোলাররা। খেলা শেষে পিচ নিয়ে দুই দলের অধিনায়কের সঙ্গে আলোচনার পর ম্যাচ অফিশিয়ালদের উদ্বেগের ব্যাপারটি আইসিসির কাছে পাঠানো রিপোর্টে উল্লেখ করেছেন ম্যাচ রেফারি ডেভিড বুন।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইসিসি জানিয়েছে, ম্যাচ অফিশিয়ালদের উদ্বেগের প্রেক্ষিতে এবং দুই অধিনায়কের সঙ্গে আলোচনার পর আইসিসির কাছে নিজের প্রতিবেদন জমা দেন ম্যাচ রেফারি ডেভিড বুন। তাতে তিনি জানিয়েছেন, আউটফিল্ড বেশ ভালো ছিল, বৃষ্টির পরও দারুণভাবে টিকে ছিল। কিন্তু, মনে হয়েছে পিচ হয়তো ঠিকঠাক প্রস্তুত নয়। এটি শক্ত ছিল না, প্রথম দিন থেকেই ঘাসের ছিটায় ঢাকা ছিল।
বুন আরও বলেছেন, প্রথম সেশন থেকে পুরোটা ম্যাচেই বাউন্স অসম ছিল, অনেক বল পিচ থেকে লাফিয়ে উঠেছে। সামনে গিয়ে খেলতে থাকা ব্যাটসম্যানের কাঁধের ওপর উঠেছে স্পিনারদের বল, এরপর মাঝে মাঝে বেশ নিচুও হয়েছে।
এদিকে আইসিসির প্রক্রিয়া অনুযায়ী, প্রতিটি আন্তর্জাতিক ম্যাচের পর পিচ ও আউটফিল্ডকে বিভিন্ন রেটিং দেওয়া হয়। সাধারণত খুব ভালো, ভালো, গড়পড়তা, গড়পড়তার নিচে, বাজে ও অনুপযুক্ত—এসব শ্রেণিতে পিচ ও আউটফিল্ডকে ভাগ করা হয়। নির্দিষ্ট মানের নিচে পড়লে ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়। অসন্তোষজনক হলে একটি এবং খেলার অনুপযুক্ত হলে তিনটি ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়।
ডিমেরিট পয়েন্ট আগামী পাঁচ বর্ষচক্রে কার্যকর থাকবে এবং কোনো ভেন্যু যদি ৬ বা তার বেশি ডিমেরিট পয়েন্ট পায়, তাহলে আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনে এক বছর নিষিদ্ধ থাকবে।
মিরপুর টেস্টে আগে ব্যাট করে প্রথম ইনিংসে ১৭২ রান সংগ্রহ করেছিল বাংলাদেশ। এর জবাবে ১৮০ রান করে ৮ রানের লিড নেয় নিউজিল্যান্ড। এরপর নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১৪৪ রান সংগ্রহ করে স্বাগতিকরা। জবাবে ১৩৯ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে কিউইরা। শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেটে ম্যাচ জেতে সফরকারীরা।