বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে অস্থিরতা কমিয়ে আনতে ভূমিকা রাখার আশ্বাস দিলো চীন। ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব খুরশেদ আলমের সঙ্গে বৈঠকে এ বিষয়ে আশ্বস্ত করেছে দেশটির রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। সীমান্তে চলমান ঘটনাগুলো দুর্ভাগ্যজনক বলেও মন্তব্য করেছেন চীনের রাষ্ট্রদূত।

মিয়ানমারের আভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে মাসখানেকেরও বেশি সময় ধরে সে দেশের সাথে বাংলাদেশের সীমান্তে যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি চলছে, তা নিয়ে গেল সপ্তাহে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দু’দফায় বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের আনুষ্ঠানিকভাবে অবহিত করে। পাশাপাশি সহযোগিতার আহŸানও জানায়। সেই ব্রিফিংয়ে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ভারত, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, মধ্যপ্রাচ্য এবং এশিয়ার বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। তবে আসেননি চীনের রাষ্ট্রদূত।

সোমবার দুপুরে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আসেন। বৈঠক করেন ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব খুরশেদ আলমের সঙ্গে। বৈঠক শেষে চীনের রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের বলেন, মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশের সীমান্তে যা হচ্ছে তা দুঃখজনক। লি জিমিং বলেন, বন্ধু দেশের মধ্যে যে রকম কথা হয়, আমাদের মধ্যে সে রকম কথা হয়েছে। দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনসহ একাধিক আন্তর্জাতিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ে সচিব আমাকে বলেছেন। যা হচ্ছে তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। আমি মনে করি এটা নিয়ে আলোচনা প্রয়োজন।

এসময় ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব খুরশেদ আলম জানান, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন যেন দ্রুত শুরু  করা করা যায় এ বিষয়ে উদ্যোগ নিয়ে বেইজিংকে অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকা।  এ ব্যাপারে চীন আশ্বস্ত করেছে বলেও জানান তিনি।