আজ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত এই নেতা ১৯২০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। এই দিনটি জাতীয় শিশু-কিশোর দিবস হিসেবেও উদযাপিত হয়। এ বছরের প্রতিপাদ্য—‘স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুদের চোখ সমৃদ্ধির স্বপ্নে রঙিন’।
পরাধীনতা থেকে মুক্ত করে বাঙালির জন্য স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় তাঁর সীমাহীন ত্যাগ বিশ্বে বিরল। অথচ স্বাধীন বাংলাদেশে একদল বিশ্বাসঘাতক বাংলাদেশি ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে বাঙালির ইতিহাসে চিরকলঙ্ক লেপন করে। সেই বছরের ১৭ই মার্চ জীবনের শেষ জন্মদিন কেমন কেটেছিল বঙ্গবন্ধুর? প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণণায় তা তুলে ধরা হলো।
চির সংগ্রামী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কাছে নিজের জন্মদিন আলাদা কোন আবেদনময় দিবস ছিল না। বছর দুই আগে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীর উৎসব মুজিববর্ষে বৈশাখী টিভিকে দেয়া বঙ্গবন্ধু ঘনিষ্ঠজনদের বয়ানে আসে সেসব তথ্য।
১৯২০ সালের ১৭ই মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ার গ্রামে জন্ম নেয়া শেখ মুজিবের ডাক নাম ছিল খোকা। মা-বাবার আদরের খোকা বিশ্বের বিরল মহাসংগ্রামী মহামানব শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর জীবনের বড় অংশ, বহু জন্মদিন কেটেছে কারাগারে। জেলের ভেতরেই থাকুন কিংবা বাইরে, শেখ মুজিবের পরিবারে জন্মদিন উদযাপনের চল ছিল না। ফলে জীবদ্দশায় বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন কেটেছে সাদাসিধে, অনাড়ম্বরে।
১৯৭৫ সালে জীবদ্দশায় বাঙালির মুক্তিদাতা শেখ মুজিবের শেষ জন্মদিন কেমন কেটেছিল? কিছু খন্ডচিত্র উঠে এসেছে অন্যতম স্বাক্ষী বঙ্গবন্ধুর ভাতিজা শেখ শহিদুল ইসলামের বর্ণণায়।
তিনি বলেন, শেষ জন্মদিনের বিকেলটা বঙ্গবন্ধু কাটিয়েছিলেন গণভবনে, শিশুদের সাথে। তখন তিনি রাষ্ট্রপতি। শেষ জন্মদিনের রাতে ধানমন্ডির বাসায় সহধর্মীণী বেগম ফজিলাতুননেসা মুজিব বঙ্গবন্ধুর প্রিয় কয়েকটি খাবার রান্না করেছিলেন।
শেখ লুৎফর রহমান ও সায়রা খাতুনের ৬ ছেলে-মেয়ের মধ্যে শেখ মুজিব তৃতীয়। তাঁর জন্মস্থান টুঙ্গিপাড়া আজ শুধু দেশবাসীর কাছে নয়, বিশ্বের সব দেশ থেকে আসা অতিথিদের কাছে দর্শনীয় স্থান।