১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা সম্পর্কে তরুণ প্রজন্মের প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে বৃহত্তর সচেতনতা সৃষ্টির আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের ৫১তম বার্ষিকী উপলক্ষে লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশনের স্মারক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

মন্ত্রী বলেন, তরুণ প্রজন্মের কাছে ইতিহাস যাতে বিকৃত না হয় তা নিশ্চিত করতে বিশেষ করে বাংলাদেশের দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্ব এবং জাতীয় চার নেতা ও মুজিবনগর সরকারের ঐতিহাসিক ভূমিকা সঠিকভাবে তুলে ধরার জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের তথ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে ইংরেজিতে তথ্যচিত্র নির্মাণ করবে।

তিনি বলেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগকে অর্থবহ এবং বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়নে তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধ, আত্মনির্ভরশীল ও আত্মমর্যাদাশীল জাতিতে পরিণত করতে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এতে বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুজিবনগর সরকারের সরকারের অন্যতম সংগঠক, প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম, বীর মুক্তিযোদ্ধা লে. কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ও নাট্য ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধকালীন সাপ্তাহিক জয় বাংলা ও
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সাংবাদিক হারুন হাবীব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. সেলিম মাহমুদ।

আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় যুক্তরাজ্যে গঠিত প্রবাসী স্টুডেন্ট অ্যাকশন কমিটির নেতৃস্থানীয় সদস্য ও প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা সুলতান মাহমুদ শরীফ ও ব্রিটিশ-বাংলাদেশি কমিউনিটি বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক। ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে মুজিবনগর সরকারের শপথ নিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত তথ্যচিত্র দেখানো হয়। এতে যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডে বসবাসকারী বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি অংশগ্রহণ করেন।