মুন্সীগগঞ্জ-নারায়নগঞ্জের সীমানা সংলগ্ন চর কিশোরগঞ্জের মেঘনা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ সুমনা আক্তার (২৮) নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সে গজারিয়া উপজেলার দক্ষিণ ফুলদি এলাকার মফিজুলের স্ত্রী। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা রমজান বেগ এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এখনও এই ঘটনায় শিশু ও নারীসহ পাঁচজন নিখোঁজ রয়েছেন।

তারা হলেন- নিহত সুমনার দুই মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস সাফা (৩) ও জান্নাতুল মাওয়া (৭), মারোয়া আক্তার (৯), সাব্বির (৪০) ও তার ছেলে ইমাদ (৭)। সাব্বির ও ইমাদের বাড়ি রংপুরে। বিআইডব্লিউটিএর উপ-পরিচালক মো. ওবায়দুল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গতকাল শুক্রবারের এ ঘটনায় আজ শনিবার সকাল থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে নৌ পুলিশ, কোড গার্ড ও বিআইডব্লিউটিএ।

শুক্রবার রাতে ঝড়বৃষ্টি আর বৈরী আবহাওয়ার কারণে নদীতে না নামতে পারলেও শনিবার সকাল থেকে নদীর তলদেশে তল্লাশি চালাচ্ছে সংশ্লিষ্ট ডুবোরি দল। ড্রেজিংয়ের কারণে নদীর তলেদেশ অসমতল থাকায় সেখানে তল্লাশি করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে ডুবরি দলকে।

উল্লেখ্য, গতকাল শুক্রবার ছুটির দিনে স্বজনরা মিলে গজারিয়া থেকে মুন্সীগঞ্জ-নারায়ণগঞ্জের সীমান্তবর্তী চরকিশোরগঞ্জের মেঘনা নদীতে ট্রলারযোগে ভ্রমণে বের হন ১২ আত্মীয়-স্বজন। ভ্রমণ শেষে সন্ধ্যায় ফেরার পথে মেঘনা নদীর মুন্সীগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জের সীমান্তবর্তী স্থানে একটি বাল্কহেডের ধাকায় ট্রলারটি ডুবে যায়। এতে চালকসহ ১৩ জনের মধ্যে ৭ জন সাতার কেটে তীরে উঠতে সক্ষম হয়। বাকী ছয়জন নিখোঁজ হয়।