প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঢাকা ‘মেট্রোরেল’ দেশের জনগণের মাথার নতুন মুকুট। এটি দেশের উন্নয়ন এবং অগ্রযাত্রায় আরেকটি সংযোজন। মেট্রোরেলের প্রথম অংশের কাজ শেষ করতে পারায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। আজ (বুধবার) দুপুরে মেট্রোরেলের ফলক উন্মোচন শেষে দিয়াবাড়িতে সুধী সমাবেশে তিনি এসব বলেন।
মেট্রোরেল নির্মাণের সময় আশপাশের এলাকার যেসব মানুষ সকল কষ্ট সইয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। তিনি বলেন, এটি বাংলাদেশের প্রথম বৈদ্যুতিক ট্রেন। মেট্রোরেলের প্রতিটি যন্ত্র ও স্টেশন রক্ষণাবেক্ষণে সবাইকে যত্নবান হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এসময় তিনি জানান, মেট্রোরেল উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে একই সঙ্গে প্রযুক্তিতে বাংলাদেশ চারটি মাইলফলক ছুঁয়েছে। তিনি বলেন, এরমধ্যে প্রথমত, মেট্রোরেল নিজেই একটি মাইলফলক। দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশে প্রথম বৈদ্যুতিক যানের যুগে প্রবেশ করলো। তৃতীয়ত, ডিজিটাল রিমোট কন্ট্রোল যান এটি, যেটি স্মার্ট বাংলাদেশের বিনির্মাণের একটি ধাপে এগুলো বাংলাদেশ। চতুর্থত, বাংলাদেশ দ্রুতগতিসম্পন্ন যানের যুগে প্রবেশ করল, এটি ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার দ্রুতগতিতে চলবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নে আরেকটি পালক মেট্রোরেল। আরেকটি নতুন অহংকারের পালক বাংলাদেশের মানুষের মাথার মুকুটে সংযোজন করলাম। এর আগে উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার অংশের উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উদ্বোধন করেই মঞ্চের সামনে থাকা নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি। এসময় নেতা-কর্মীরা উল্লাস প্রকাশ করেন। জয়-বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগানে মুখরিত হয় সুধি সমাবেশ।
এছাড়া মঞ্চে উপস্থিত রয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানা, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, ডিএমটিসিএলর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক, জাইকা বাংলাদেশ অফিসের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুচি তমোহিদে, জাপান রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি প্রমুখ।
সুধী সমাবেশে যোগদান শেষে মেট্রোরেলের প্রথম যাত্রী হবেন। টিকিট কেটে মেট্রোরেলে চড়বেন প্রধানমন্ত্রী।