বিশ্ব ফুটবলের ত্রিরত্ন লিওনেল মেসি, নেইমার জুনিয়র, কিলিয়ান এমবাপেরা পায়ের জাদুতে মোহাবিষ্ট করলেন, ম্যাচের প্রথম বাঁশি থেকে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত প্রতিপক্ষকে নিয়ে খেললেন। তাদের অবিশ্বাস্য ফুটবল শৈলীতে লিগ আঁ-তে বড় জয় পেয়েছে পিএসজি। প্যারিসিয়ানদের নতুন কোচ ক্রিস্তোফ গালতিয়েরের সাবেক দল লিলকে ৭-১ গোলে ধসিয়ে দিয়েছে পিএসজি। হ্যাটট্রিক করেছেন এমবাপে, জোড়া গোল পেয়েছেন নেইমার, একবার করে লক্ষ্যভেদ করেছেন মেসি এবং আশরাফ হাকিমি।

রোববার রাতে লিলের মাঠে ৭-১ গোলের বিশাল ব্যবধানে জয়লাভ করে পিএসজি। একইসাথে লিগ ওয়ানে প্রথম তিন ম্যাচেই জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে দলটি। ম্যাচে ফরাসি জায়ান্টদের হয়ে হ্যাটট্রিক করেন এমবাপ্পে। হ্যাটট্রিক অ্যাসিস্ট ও জোড়া গোল করেন নেইমার। একটি করে গোল করেন আশ্রাফ হাকিমি ও লিওনেল মেসি।

ম্যাচের শুরুতেই পায়ের ঝলক দেখিয়েছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। লিওনেল মেসির পা থেকে উড়ে আসা বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে মাত্র ৮ সেকেন্ডের মাথায় লক্ষ্যভেদ করেন ফরাসি এই ফরোয়ার্ড। একইসাথে গড়েন লিগ ওয়ানে সবচেয়ে কম সময়ের মধ্যে গোলস্কোরের রেকর্ড। দারুণ সব আক্রমণ করতে থাকা পিএসজির স্কোর দ্বিগুণ করেন লিওনেল মেসি। ২৭তম মিনিটে নুনো মেন্দিসের সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়া করে বক্স থেকে দারুণ এক শটে জাল খুঁজে নেন আর্জেন্টাইন এই ফরোয়ার্ড।

উড়তে থাকা পিএসজি তৃতীয় গোলের দেখা পায় ৩৯তম মিনিটে। নেইমারের সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়ার এক পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণে এনে প্রতিপক্ষের গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন আশ্রাফ হাকিমি। চার মিনিট পর গোলের দেখা পান আগের গোলে সহায়তা করা নেইমার। মেসির পা থেকে ছুটে আসা বল নিয়ন্ত্রনে নিয়ে সহজ শটে লক্ষ্যভেদ করতে ভুলেননি ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ড। ৪-০ গোলের বড় ব্যবধানে থেকে প্রথমার্থ শেষ করে পিএসজি।

বিরতির পর খেলতে নেমে আগের মতোই দারুন সব আক্রমণ করে যায় পিএসজি। আবারও গোল পান নেইমার। ৫২তম মিনিটে বক্সে থাকা বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হয় লিলে। সুযোগ পেয়ে হাকিমির সাইডপাস ধরে লক্ষ্যভেদ করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। ৫৪তম মিনিটে কাউন্টার আক্রমণে দলের হয়ে এক গোল শোধ দেন লিল মিডফিল্ডার জোনাথান বোম্বা। কিন্তু এতে একটুও থামেনি পিএসজির আক্রমণ।

৬৬তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলের দেখা পান এমবাপ্পে। মাঝমাঠ থেকে বল টেনে নিয়ে এসে তাকে লক্ষ্য করে বক্সে পাস দেন নেইমার। সহজ শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করতে ব্যর্থ হননি ফরাসি ফরোয়ার্ড। ৮৭তম মিনিটে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন তিনি। এবারও নেইমারের অ্যাসিস্ট। ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ডের বাকানো পাস থেকে বল পেয়ে জাল খুঁজে নেন এমবাপ্পে। বিশাল জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে গালতিয়েরের শিষ্যরা।