বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দে বাড়িতে সময় কাটাচ্ছেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টিনা থেকে এখনো নিজ দল পিএসজিতে যোগ দেননি ফুটবল জাদুকর। অন্যদিকে আগের ম্যাচে লাল কার্ড দেখে নেইমারও নিষিদ্ধ ছিলেন এদিন। মেসি-নেইমারের শূন্যতাটা এমবাপে একা ঢাকতে পারেননি। লিগ ওয়ানের বছরের প্রথম ম্যাচে লেঁসের বিপক্ষে ৩-১ গোলে হেরে বসেছে পিএসজি। এর ফলে নতুন বছরের শুরুতে ভেঙে গেছে পিএসজির প্রায় আট মাসের দীর্ঘ অপরাজেয় যাত্রাও।
ম্যাচের শুরুতেই স্বাগতিকদের এগিয়ে নেন ফ্রেঙ্কোস্কি। প্রথমার্ধের ৫ মিনিটেই লঁসের হয়ে প্রথম গোলটি করেন এই পোলিশ মিডফিল্ডার। তবে পিছিয়ে পড়ে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি কিলিয়ান এমবাপেদের। মাত্র তিন মিনিট পরই উগো একিতিকের গোলে সমতা ফেরায় পিএসজি।
২৩ মিনিটে গোলরক্ষক দোন্নারুম্মার নৈপুন্যে দ্বিতীয় গোল থেকে রক্ষা পায় প্যারিসের দলটি। তবে ২৮ মিনিটে আবারো পরাস্ত হন এই ইতালিয়ান। বেলজিয়াম ফরোয়ার্ড ওপেন্দার গোলে আবারো লিড নেয় লঁস। ২-১ গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা।
আগের ম্যাচে লাল কার্ড দেখায় এই ম্যাচে ছিলেন না ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার জুনিয়র। ফলে বিরতি থেকে ফিরে বলার তেমন কোন বড় পরিবর্তন আনতে পারেনি পিএসজি। দ্বিতীয়ার্ধে পিছিয়ে পড়ে আক্রমণের ধার বাড়াতে থাকে ক্রিস্তফ গালতিয়ের দল।
কিন্তু উল্টো ৩-১ গোলে পিছিয়ে পড়ে ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা। আলেক্সিস ক্লদের গোলে ব্যবধান বাড়ায় লঁস। দুই গোলে পিছয়ে পড়ে ম্যাচে ফিরতে মরিয়া হয়ে উঠে পিএসজি। কিন্তু এমবাপে-হাকিমিদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় বারবার।
লঁসের হয় গোলরক্ষক ব্রাইস সাম্বা ছিলেন অতন্দ্র প্রহরীর মতো। কঙ্গোর এই ফুটবলার পিএসজির নেওয়া একের পর এক শট ঠেকিয়ে দেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ঘরের মাঠে ৩-১ গোলের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পয়েন্ট তালিকায় দুই নম্বরে থাকা লঁস।
এই ম্যাচ শেষে দুই দলই এখন পর্যন্ত ১৭ ম্যাচ খেলেছে। যেখানে ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অবস্থান পিএসজির অপরদিকে তাদের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলা লঁস ৪০ পয়েন্ট রয়েছে এক ধাপ নিচে।