ঘূর্ণিঝড় মোখার গোটা দেহ মিয়ানমারের উপকূলে গেলেও তার প্রভাবে বেশ কিছু ক্ষতি হয়েছে কক্সবাজার জেলার বহু এলাকায়। টেকনাফ, সেন্টমার্টিনসহ আরও দ্বীপ ও চর এলাকায় ঘন্টায় প্রায় দেড়’শ কিলোমিটার গতির ঝড়ো বাতাসে উড়ে গেছে বহু ঘরের চাল, পড়েছে অনেক গাছপালা। তবে মানুষ হতাহতের কোন সংবাদ এখনও মেলেনি।
মহাবিপদ নিয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতের ক্ষতি এড়াতে কক্সবাজারের মহেশখালীতে দুটি তরল প্রাকৃতিক গ্যাস সংক্ষেপে এলএনজি টার্মিনাল বন্ধ রাখা হয় শনিবার থেকে। ঘূণিঝড় মোখা কক্সবাজার উপকুল ঘেষে মিয়ানমারে আঘাত করে। কিন্তু তার প্রভাবে ঘন্টায় প্রায় দেড়শ কিলোমিটার গতির ঝড় হয় কক্সবাজরের উপকূলে। বাড়ে উত্তাল সাগরের পানির উচ্চতা। তাতেই মহেশখালীর একটি এলএনজি টার্মিনালের পাইপলাইন ভেসে গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন তা ঠিক করতে ১৫ দিন লাগবে। ফলে গ্যাসের সরবরাহ স্বাভাবিক হতেও সময় লাগবে।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে কক্সবাজার উপকূলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ আছে। সেটাও স্বাভাবিক হতে খানিকটা সময় লাগবে।
কক্সবাজারের টেকনাফ, সেন্টমার্টিনসহ বিভিন্ন দ্বীপ ও চরে ঘরবাড়ি, হোটেল ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাতাসের দাপটে গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে গেছে। টেকনাফ উপজেলার বাহারছরা, সাবরং ও শাহপরীরদ্বীপ উপকূল জলোচ্ছাসে প্লাবিত হয়েছে। ঝড়ের তীব্রতায় বিভিন্ন সড়কে গাছগাছালি ভেঙে পড়েছে। বন্ধ আছে কিছু সড়কের যোগাযোগ।
রাজধানী ঢাকাসহ আরও বিভিন্ন অঞ্চলে পাইপ লাইনে গ্যাসের চাপ কম থাকবে কিছুদিন। হঠাৎ গ্যাস সংকটে বেড়ে গেছে সিলিন্ডার গ্যাসের দাম।
ঝড়ের কারণে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের বিমান ও সমুদ্র বন্দরের স্বাভাবিক কাজ বন্ধ আছে। এসব খাতে বিপুল সংখ্যক মানুষ দিনমজুর হিসেবে কাজ করেন। তাদের কাটছে কর্মহীন সময়। চট্টগ্রাম ও পায়রা বন্দরের নদীর চ্যানেল থেকে লাইটার জাহাজগুলোকে সরিয়ে নিরাপদে রাখা হয়েছে। বড় জাহাজগুলোকে সমুদ্র বন্দর থেকে সরিয়ে গভীর সাগরে নোঙর করে রাখা হয়েছে। দেশজুড়ে অভ্যন্তরীণ নৌযান চলাচলও বন্ধ রাখা হয়।