বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সাবেক সদস্য মোহাম্মদ নাসিমের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ সোমবার (১৩ই জুন)। ২০২০ সালের ১৩ই জুন রাজধানীর শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

১৯৪৮ সালের ২ এপ্রিল সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর উপজেলায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন মোহাম্মদ নাসিম। তার বাবা শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন, যিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে গঠিত বাংলাদেশ সরকারে অর্থ, শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

জাতীয় চারনেতার অন্যতম এম মনসুর আলী তেসরা নভেম্বর জেলখানায় ঘাতকদের হাতে নিহত হন।

পারিবারিক জীবনে মোহাম্মদ নাসিম তিন সন্তানের জনক ছিলেন। তার স্ত্রীর নাম লায়লা আরজুমান্দ। বড় ছেলে তানভীর শাকিল জয় সিরাজগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য।

মোহাম্মদ নাসিম জগন্নাথ কলেজ (বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।

তিনি ১৯৮৬, ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে তিনি সিরাজগঞ্জ-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী হিসেবে নিয়োজিত হন।

এছাড়াও ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি সিরাজগঞ্জ-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

এর আগে ১৯৯৬ সালে গঠিত আয়ামলীগ সরকারে তিনি স্বরাষ্ট্র, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৪ দলীয় মহাজোটের মুখপাত্র হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

মোহাম্মদ নাসিম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন। তিনি রাজনীতির পাশাপাশি সমাজকল্যাণমূলক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ঢাকাসহ নিজ এলাকা সিরাজগঞ্জে বেশ কিছু স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন তিনি।

মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার সকাল ৯টায় পরিবার এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে তার কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এছাড়াও তার জন্মস্থান কাজিপুরে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা করা হবে।

নাসিমের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বেলা ১১টায় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের পক্ষ থেকে এক স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছে।