মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট-সিটিটিসি। এই অভিযানে ৩ শিশুসহ ১৩ জনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে  বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও জিহাদী বই জব্দ করা হয়েছে। সিটিটিসি জানিয়েছে, কয়েকমাস আগে নাশকতার পরিকল্পনা করতেই পাহাড়ে অবস্থান নেয় তারা।

শনিবার ভোরে, মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় দূর্গম পাহাড়ে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে একটি বাড়ি ঘিরে অভিযান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ‘অপারেশন হিলসাইড’ নামে অভিযানে অংশ নেয় পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট-সিটিটিসি।

অভিযান শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, অভিযান চালিয়ে ১০ জঙ্গিকে আটক করা হয়েছে। তাদের বাড়ি দেশের বিভিন্ন এলাকায়। আটককৃতদের এর মধ্যে ৪ জন পুরুষ, ৬ জন নারী ও ৩ শিশু রয়েছে। এ সময় তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ৩ কেজি বিস্ফোরক ও ৫০টির মতো ডেটোনেট, নগদ ৩ লাখ ৬১ হাজার টাকা, জঙ্গি প্রশিক্ষণ সামগ্রিক ও বিপুল পরিমাণ জিহাদি বই উদ্ধার করা হয়েছে।

আটক ১০ জন হলো, সাতক্ষীরার শরীফুল ইসলাম (৪০), কিশোরগঞ্জের হাফিজ উল্লাহ (২৫), নারায়ণগঞ্জের খায়রুল ইসলাম (২২), সিরাজগঞ্জের রাফিউল ইসলাম (২২), নারায়ণগঞ্জের মেঘনা (১৭), নারায়ণগঞ্জের আবিদা (১২ মাস), পাবনার শাপলা বেগম (২২), জুবেদা (১৮ মাস), হুজাইফা (৬), নাটোরের মাইশা ইসলাম (২০), বগুড়ার মোছা. সানজিদা খাতুন (১৮), সাতক্ষীরার আমিনা বেগম (৪০) ও মোছা. হাবিবা বিনতে শফিকুল (২০)।

অভিযান শেষে মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান আরও বলেন, আমাদের কাছে তথ্য ছিল নতুন একটি উগ্রবাদী সংগঠন অনেক লোককে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। মৌলভীবাজারের যে কোনো একটি পাহাড়ে তারা তাদের আস্তানাটি তৈরি করেছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে ‘অপারেশন হিলসাইড’ চালানো হয়। ঢাকায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই ব্যক্তি এই জঙ্গি আস্তানা থেকে তার পরিবারকে আনার জন্য গিয়েছিলেন।

তিনি জানান, সাড়ে ৪ ঘণ্টার এই অপারেশনের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন হিলসাইড’। এটি নতুন একটি সংগঠন, নাম হচ্ছে ‘ইমাম মাহমুদের কাফেলা’। বাংলাদেশে যে সব নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আছে, সেগুলোর বাইরে এটি একটি নতুন সংগঠন। এই সংগঠনের যে মূল ব্যক্তি তার নামও জানা গেছে।