মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে সারাদেশে বৃষ্টি হচ্ছে। উপকূলীয় জেলাগুলোতে বৃষ্টির সঙ্গে বেড়েছে জোয়ারের পানি। তাতে অনেক নিচু এলাকা তলিয়ে গেছে। অব্যাহত বৃষ্টির কারণে পার্বত্য তিন জেলায় পাহাড় ধসের ঝুঁকি বেড়েছে। ভূমিধসের কারণে কোথাও কোথাও সড়কে যান চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারী অনেক পরিবারকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নিয়েছে জেলা প্রশাসন। আগামী কয়েকদিন বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
রোববার (৬ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয় ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এছাড়া সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি কমে আসতে পারে। তবে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পেতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, মৌসুমী বায়ুর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
সাগরের আবহাওয়ার সর্বশেষ পরিস্থিতি:
সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এ অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।