যশোরের শার্শায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রায় ১০ কেজি সোনা জব্দ করেছে। আটক করা হয়েছে দুই পাচারকারীকে। অভিযানের পুলিশের ওপর ককটেল হামলা চালায় স্বর্ণ পাচারকারীরা। এসময় উভয়পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনাও ঘটে। এতে এক পাচারকারী নিহত হয়েছে। তবে তার নাম-ঠিকানা জানা যায়নি। পাচারকারীদের ছোঁড়া ককটেলে তোহিদ ইসলাম ও রনবীসহ তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে শার্শা উপজেলার জামতলা এলাকার মবিল ফ্যাক্টরির সামনে নাভারন-সাতক্ষীরা মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে। আটক ব্যক্তিরা হলেন- কুমিল্লার সাজাদিয়া গ্রামের আবুল সরকারের ছেলে রবিন (৪৫) ও একই জেলার পাঁচ গাছিয়া গ্রামের কবির হোসেনের ছেলে কাশেম(৩৫)।
পুলিশ জানায়, গতরাত দেড়টায় নাভারন-সাতক্ষীরা মহাসড়কের জামতলা এলাকার মবিল ফ্যাক্টরির সামনে শার্শা থানা পুলিশ ও যশোর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের যৌথ অভিযানের সময় দ্রুতগামী একটি সাদা প্রাইভেটকারকে থামান তারা। এসময় প্রাইভেটকারে থাকা দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন এবং তাদের দেহ ও প্রাইভেটকারে তল্লাশি চালায় পুলিশ। তাদের কাছ থেকে ৯ কেজি ৭৫৮ গ্রাম স্বর্ণ পাওয়া যায়। এ নিয়ে কথাবার্তার সময় মহাসড়কের দুই দিক থেকে বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলে কয়েকজন এসে পুলিশকে লক্ষ্য করে পাঁচটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান। এসময় পুলিশ আত্মরক্ষায় রাবার বুলেট ছুঁড়লে তারা পালিয়ে যান। সন্ত্রাসীদের ছোঁড়া ককটেলে দুই পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে ঘটনাস্থলের ২০০ গজ দূরে গুরুতর আহত অবস্থায় একজনকে উদ্ধার করা হয়। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
স্বর্ণসহ পাচারকারীদের শার্শা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।