যুক্তরাষ্ট্রের আরাকানসাস অঙ্গরাজ্যে আঘাত হেনেছে শক্তিশালী টর্নেডো। এতে এখন পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার আরাকানসাসের দক্ষিণ এবং মধ্য-পশ্চিমে টর্নেডোটি আঘাত হানে।

দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, টর্নেডোর আঘাতে রাজ্যের বেশ কয়েকটি শহর লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙ্গে পড়ার কারণে হাজার হাজার বাড়ি-ঘর বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে। টর্নেডোজনিত শিলাবৃষ্টি ও ভারী বর্ষণ রাজ্যে জীবনযাত্রাকে ব্যাহত করেছে। বাতিল করা হয়েছে শতাধিক ফ্লাইট।

আরকানসাসের গভর্নর সারাহ হুকাবি স্যান্ডার্স জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে আরকানসাসের মধ্যবর্তী অঞ্চলে ‘উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি’ হয়েছে। শুক্রবার রাতের ঘূর্ণিঝড়ের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন তিনি। পাশাপাশি স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করার জন্য ন্যাশনাল গার্ড বাহিনীকেও মাঠে নামার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

সারাহ হুকাবি স্যান্ডার্স এক টুইটে বলেছেন, ‘যেহেতু ঝড়-বাদলা চলছেই তাই আরকানসাসবাসীকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।’

আরকানসাসের পোলাস্কি কাউন্টির জরুরি ব্যবস্থাপনা এজেন্সির মুখপাত্র মেডেলিন রবার্টস এবিসিকে জানিয়েছেন, পোলাস্কি কাউন্টিতে অন্তত একজন নিহত হয়েছেন। কাউন্টির নর্থ লিটল রক শহরে ওই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে আরকানসাসের ওয়েন শহরে অপর দুজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার পর ওয়েনের প্রতিবেশী শহর সেন্ট ফ্রান্সিস কাউন্টি থেকে সহায়তা করতে আসে ফ্রান্সিসের করোনার মাইকেল কিম্বল। তিনি এবিসি নিউজকে জানান, ঘূর্ণিঝড়ের সরাসরি আঘাতে ওয়েনে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।

অপরদিকে, ঘূর্ণিঝড়ে আহত হয়ে অন্তত ৫০ জন ব্যক্তি আরকানসাসের বিভিন্ন শহরের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা করছেন আহতদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।