বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০২২ সালে বৈশ্বিক মানবাধিকার বিষয়ে যে প্রতিবেদন দিয়েছে, সেটা পড়লে লজ্জিত হই। তারা যে প্রতিবেদন দিয়েছে তাতে দেশ লজ্জিত। দেশে এখন গণতন্ত্র, মানবাধিকার, বাকস্বাধীনতার লেশমাত্র নেই।
মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের লেশমাত্র নেই যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার রিপোর্টে উঠে এসেছে, এটি আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক। সরকার পুরো দেশকে কারাগারে পরিণত করেছে । আন্দোলন শুরু হয়েছে, পুরো জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করেই সরকারকে সরতে বাধ্য করা হবে।
এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ গায়ের জোরে ক্ষমতা ধরে রেখেছে। গত ১৪ বছরে দেশে বৈষম্য বেড়েছে, দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে অর্থনীতি ধ্বংস করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার রিপোর্টে যা এসেছে সেই বিষয়গুলো বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছে।
তিনি আরো বলেন, সরকারকে যত দ্রুত সরানো যাবে ততোই দেশের জন্য মঙ্গল। সময় সন্নিকটে, এ দেশের মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। বিভেদ-দ্বন্দ্ব ভুলে রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষকে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান।
অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সংবিধানের দোহাই দিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখার ষড়যন্ত্র করছে সরকার। নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সংবিধানের কথা বলা দুরভিসন্ধিমূলক। আলাপ আলোচনার সুযোগ নেই, রাজপথেই সমাধান করা হবে।