যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক অঙ্গরাজ্যে আঘাত হেনেছে শক্তিশালী টর্নেডো। এতে এখন পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন রয়েছে কয়েক লাখ মানুষ। এছাড়া ক্যালিফোর্নিয়ায় সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি ও তুষারপাত হয়েছে।
বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেস (এপি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যালাবামা রাজ্যে বৈরী আবহাওয়া আর প্রবল বাতাসের কারণে গাছের নিচে চাপা পড়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। মিসিসিপি রাজ্যে গাড়িতে গাছের ডাল ভেঙে আহত একজন নারী মারা যান। অপরদিকে আরকানসাসে বন্যার পানিতে ডুবে একজন মারা গিয়েছেন। এছাড়া স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, টেনেসি রাজ্যেও গাছের নিচে চাপা পড়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। কেনটাকি রাজ্যে বৈরী আবহাওয়াজনিত কারণে তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ভিন্ন ভিন্ন কাউন্টিতে এই তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
পাওয়ার আউটেজ ডট ইউএসের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে কেনটাকি, টেনেসি এবং মিশিগানের এক মিলিয়নেরও বেশি মানুষ বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছেন।
দেশটির আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, কিছু এলাকায় প্রতি ঘণ্টায় ৩ ইঞ্চি (৮ সেন্টিমিটার) পর্যন্ত তুষারপাত হতে পারে। ম্যাসাচুসেটস এবং রোড আইল্যান্ডের উপকূলীয় এলাকায় বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে। নিউ হ্যাম্পশায়ার এবং মেইনের কিছু অংশে ১৮ ইঞ্চি (৪৫ সেন্টিমিটার) পর্যন্ত তুষারপাত হতে পারে।
বৈরী আবহাওয়ার কারণে পোর্টল্যান্ড ও মেইনের বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা শনিবার পর্যন্ত বেশ কয়েকটি ফ্লাইট বাতিল করেছেন। এছাড়া এসব অঞ্চলের বেশ কিছু গ্রন্থাগার এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
ঝড়টি শুক্রবার বিকেলে ডেট্রয়েট অঞ্চল অতিক্রম করার সময় সড়ক ও বাড়িঘরসহ সবকিছু তুষারে ঢেকে দিয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় আবহাওয়ার পরিস্থিতি অবনতির কারণে ডেট্রয়েট মেট্রোপলিটন বিমানবন্দরটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ডেট্রয়েটের একটি প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা হতে প্রায় দেড় লাখ মানুষ বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে। এছাড়া গত সপ্তাহে প্রবল তুষার ঝড়ের কারণে ৬ লাখের বেশি বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় ছিল।
জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবা জানিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে ভারী তুষারপাতের কারণে উত্তর-পশ্চিম ইন্ডিয়ানা জুড়ে সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে গেছে। এর ফলে অসংখ্য যানবাহন দুর্ঘটনায় পড়েছে।