যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে স্বাস্থ্য বিষয়ক জরুরি অবস্থা জারি করেছে দেশটির সরকার। বাইডেন প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, ভ্যাকসিন, চিকিৎসা ও সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে এ ব্যবস্থা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) মাঙ্কিপক্স সংক্রমণের প্রেক্ষিতে গোটা বিশ্বে সর্বোচ্চ সতর্কতা ঘোষণা করার পর যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্ত।

যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত সেখানে মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়েছে ৬ হাজার ৬০০ জনের। সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ঘটেছে নিউইয়র্কে। এই অঙ্গরাজ্যটির সরকার গত সপ্তাহে স্বাস্থ্য বিষয়ক জরুরি অবস্থা জারি করে। সংক্রমণের দিক থেকে এরপরই অবস্থান ক্যালিফোর্নিয়া ও ইলিনয়  অঙ্গরাজ্য।

যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) তথ্য অনুযায়ী, সারাবিশ্বে এ পর্যন্ত ২৬ হাজার মাঙ্কিপক্স রোগী শনাক্ত হয়েছে।

মাঙ্কিপক্স সংক্রমণের পেছনে রয়েছে মাঙ্কিপক্স নামের ভাইরাস। এটি স্মলপক্স ভাইরাস শ্রেণির। করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই উত্তর আমেরিকা, ইউরোপসহ বেশ কয়েকটি দেশে মাঙ্কিপক্সের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক রোগী শনাক্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৭৫ দেশে ১৬ হাজারের বেশি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন গেব্রিয়াসুস। তিনি বলেন, মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণকে বৈশ্বিক জরুরি স্বাস্থ্য সতর্কতা হিসাবে ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটি সারা বিশ্বের জন্য উদ্বেগের।

সর্বপ্রথম মাঙ্কিপক্সের ভাইরাস খুঁজে পাওয়া যায় বানরের শরীরে। ১৯৭০ সালে গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোতে যখন গুটিবসন্ত নির্মূলের জোর চেষ্টা চলছে, তখনই মাঙ্কিপক্সের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়েছিল। এরপর থেকে মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে মানুষের মধ্যে মাঙ্কিপক্স ছড়িয়েছে, যা এখন ছড়িয়ে পড়ছে গোটা বিশ্বে।