যুক্তরাষ্ট্র-চীনের আর কোন সংঘাতে জড়ানো উচিত না বলে মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সামরিক যোগাযোগ বাড়িয়ে দুই দেশের মধ্যকার দীর্ঘ বৈরি সম্পর্কের অবসান হবে উল্লেখ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সম্পর্ক আগামীতে ‘দায়িত্ববোধের’ সঙ্গে পরিচালিত হবে।

বুধবার (১৫ই নভেম্বর) সান ফ্রান্সিসকোয় এশিয়া প্যাসিফিক ইকনমিক কো-অপারেশন ফোরামের সম্মেলনের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক   বৈঠক হয়। এর পর এক সংবাদ সম্মেলনে বৈঠকটিকে গঠনমূলক এবং ফলপ্রসূ হিসেবে বর্ণনা করে এসব জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

এদিকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্ক নতুন করে এগিয়ে নিতে চান। বৈঠকের পর মার্কিন-চীন সম্পর্ককে ‘বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক’ বলে অভিহিত করেছেন শি জিনপিং। তিনি বলেন, দুদেশের জনগণ ও বিশ্ববাসীর দায়িত্ব ভার তাদের কাঁধে। তাই চীন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দুটি বড় দেশের একে অপরের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া আর ঠিক হবে না। কারণ উভয় পক্ষকে দ্বন্দ্ব এবং সংঘর্ষের অসহনীয় পরিণতি ভোগ করতে হবে।

তাইওয়ানকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে “সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং সংবেদনশীল সমস্যা” বলে অভিহিত করে স্ব-শাসিত দ্বীপের সাথে চীনের শান্তিপূর্ণ একীকরণকে সমর্থন করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানান।

শি জিনপিং বলেন, এই পৃথিবী দুই এ দেশের জন্যে যথেষ্ট বড়। দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক দিক দিয়ে অনেক ভিন্নতা থাকতে পারে। তবে এসব ভিন্নতাকে জয় করে আরও বেশি ঘনিষ্ঠভাবে একে অন্যের উন্নয়নে কাজ একসাথে কাজ করা হবে।