জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে আগামী সপ্তাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এছাড়াও তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে সাক্ষাৎ করবেন বলেও মার্কিন বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।

সংবাদ মাধ্যম ডয়েচ ভেলে জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এই সফরে মার্কিন কংগ্রেসে এবং হোয়াইট হাউসে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। সফরকালীন সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের জন্য ২১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্যাকেজ প্রদান করা হতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

ইউক্রেনের জন্য গত সপ্তাহেই মার্কিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন এক বিলিয়ন ডলারের সাহায্য ঘোষণা করেছে। তবে ২১ বিলিয়ন ডলারের প্যাকেজ নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসে বিতর্ক চলছে। এই পরিস্থিতিতে ক্যাপিটল হিলে মার্কিন কংগ্রেসে গিয়ে সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি।

এর আগে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন জেলেনস্কি। তখন মার্কিন কংগ্রেসে বক্তৃতাও প্রদান করেছিলেন তিনি। তবে এবার জেলেনস্কি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে যে অর্থ দিচ্ছে তা সাহায্য নয়, এই অর্থ আসলে বিনিয়োগ। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই বিনিয়োগ হিসেবে এই অর্থকে ধরতে হবে।

গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশ ই্উক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ নামে আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। সে হিসাবে টানা দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে যুদ্ধ চলছে। রুশ এই আগ্রাসনের শুরু থেকেই পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিকে অস্ত্রসহ সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছে আমেরিকাসহ পশ্চিমা দেশগুলো।

মূলত রুশ আগ্রাসন মোকাবিলায় ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীকে সহায়তার জন্য বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র ও তহবিলসহ সামরিক সরঞ্জাম প্রদান করে থাকে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন গত সপ্তাহে ইউক্রেন সফর করেন এবং ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের নতুন সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেন।

বাইডেন ইউক্রেনে অতিরিক্ত সামরিক সহায়তার জন্য ১৩ বিলিয়ন ডলার এবং মানবিক সহায়তার জন্য ৮ বিলিয়ন ডলারের প্যাকেজ চেয়েছেন। তবে কয়েকজন রক্ষণশীল রিপাবলকান আইনপ্রণেতা ফেডারেল খরচ কমানোর জন্য চাপ দিচ্ছেন। অনেকে আবার বিশেষভাবে ইউক্রেনে অর্থ বন্ধ করতে চাইছেন। কারণ মার্কিন সরকারকে চলমান রাখতে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বার্ষিক বরাদ্দ বিল পাস করার চেষ্টা করছে কংগ্রেস।