রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর থেকে টানা সংঘাতে ১৩ হাজার ইউক্রেনীয় সৈন্য নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির এক জেষ্ঠ্য কর্মকর্তা। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে রাশিয়া হামলা শুরু করে এবং এরপর থেকে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ দশ মাসে গড়িয়েছে। এখনও যুদ্ধ থামার লক্ষণ দেখছে না বিশ্ববাসী। আজ (শুক্রবার) এক প্রতিবেদনে এতথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা মাইখাইলো পোদোলিয়াক বলেছেন, রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর থেকে ইউক্রেনের ১০ হাজার থেকে ১৩ হাজার সৈন্য মারা গেছেন। ইউক্রেনের পক্ষে হতাহতের পরিসংখ্যান দেওয়ার ঘটনা বিরল। তবে পোডোলিয়াকের মন্তব্য দেশটির সামরিক বাহিনীর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। গত জুনে তিনি বলেছিলেন, যুদ্ধে দেশটির একশ থেকে দুশো সেনা প্রতিদিনই নিহত হচ্ছে।

এর আগে নভেম্বর মাসের শুরুতে মার্কিন সামরিক বাহিনীর শীর্ষ জেনারেল মার্ক মিলি বলেছিলেন, ইউক্রেনে ১ লাখেরও বেশি রাশিয়ান সামরিক কর্মী নিহত বা আহত হয়েছেন। কিয়েভের বাহিনীও সম্ভবত একই রকম হতাহতের শিকার হয়েছে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।

এদিকে, গত বুধবার একটি ভিডিও ভাষণে ইইউ কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লেইন বলেছেন, রাশিয়ার হামলায় ১ লাখ ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছে। যদিও ইইউ কমিশনের একজন মুখপাত্র পরে তার এই বক্তব্য স্পষ্ট করে জানান, এটি একটি ভুল ছিল, এবং পরিসংখ্যানটিতে নিহত ও আহত উভয়কেই উল্লেখ করা হয়েছে।

অন্যদিকে,  ইউক্রেনীয় স্থানীয় টিভি আউটলেটের সাথে কথা বলার সময় মাইখাইলো পোদোলিয়াক বলেন, হামলায় ‘নিহত সেনাদের সংখ্যা নিয়ে খোলাখুলি কথা বলছে’ কিয়েভ। তিনি বলেন, রুশ হামলায় ১০ হাজার থেকে ১২৫০০-১৩০০০ সেনা নিহত হয়েছেন।’ সেই সাথে নিহত বেসামরিক মানুষের সংখ্যা ‘উল্লেখযোগ্য’ হতে পারে।

বিবিসির সংবাদে ৩ হাজার ৬০০ বেসামরিক লোক নিহত হওয়ার খবর জানানো হয়েছিল গত জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে। তবে সেটি এখন আরও বেশি হতে পারে।

পোডোলিয়াক আরও জানান, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে ১ লাখ রুশ সেনা নিহত এবং ১ থেকে দেড় লাখ আহত হতে পারে বা নিখোঁজ থাকতে পারে। রাশিয়া সার্ভিসের বরাতে বিবিসির জানায়, কমপক্ষে ৯ হাজার ৩১১ জন সেনা নিহত হয়েছে রাশিয়ার। তবে প্রকৃত মৃতের সংখ্যা ১৮ হাজার ৬০০-র বেশি হতে পারে।