জনদুর্ভোগ ও মানুষের স্বস্তির কথা চিন্তা করে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্র লীগের যৌথ শান্তি সমাবেশ একদিন পিছিয়ে শুক্রবারে (২৮শে জুলাই) নেয়া হয়েছে। পুরাতন বাণিজ্যমেলার মাঠে বেলা ৩টায় এই সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। বিএনপির মহাসমাবেশ পেছানোর আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আধাঘণ্টার মধ্যে শান্তি সমাবেশ পেছানোর এমন সিদ্ধান্ত জানালেন সরকার সমর্থকরাও।
আওয়ামী লীগের উপদফতর সম্পাদক সায়েম খান জানিয়েছেন, কোনও মাঠ পাওয়া না যাওয়ায় এবং যে মাঠ পাওয়া গেছে, তা ব্যবহার উপযোগী না হওয়ায় যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ আগামীকাল বৃহস্পতিবারের পরিবর্তে শুক্রবার (২৮ জুলাই) পুরনো বাণিজ্য মেলা মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।
যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হোসেন খান নিখিল জানিয়েছেন, জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনায় নিয়ে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের শান্তি সমাবেশ ২৭ জুলাইয়ের পরিবর্তে ২৮ জুলাই বাণিজ্য মেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। ওই দিন বাদ জুমা সমাবেশ হবে।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমানসহ যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতারা বুধবার রাতে পুরানো বাণিজ্য মেলা মাঠ পরিদর্শনে যান।
গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু গণমাধ্যমকে বলেন, পুরানো বাণিজ্য মেলা মাঠ ব্যবহার উপযোগী না। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় আমাদের কাছে একদিন সময় চেয়েছে, সময় দিলে তারা মাঠটা ঠিক করে দিতে পারবে। এ কারণে আমাদের বৃহস্পতিবারের পূর্ব নির্ধারিত শান্তি সমাবেশ শুক্রবারে নেওয়া হয়েছে।
পুরানো বাণিজ্য মেলা মাঠে কয়েকদিন আগে বৃক্ষ মেলা হওয়ায় খানাখন্দ হয়েছে বলে দাবি করেন সাচ্চু। তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে এখানে বৃক্ষ মেলা হয়েছিল। এখানে খানাখন্দে ভরা। রাতের ভেতরে এগুলো ঠিক করা সম্ভব নয়। মাঠ ঠিক করতেই গণপূর্ত মন্ত্রণালয় একদিন সময় চেয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের প্রস্তুতি ছিল ৩ থেকে ৫ লাখ ছাত্র-যুবকদের নিয়ে সমাবেশ করা। মাঠটা আমাদের জন্য উপযোগী বলে আমি মনে করি। সমস্যা হচ্ছে যারা বিভিন্ন জেলা থেকে আসবে তারা ইতোমধ্যে রওনা দিয়েছে। এখন কষ্ট হলেও তাদেরকে মেসেজের মাধ্যমে জানাচ্ছি যে আগামীকাল নয়, শুক্রবার বিকাল তিনটায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।