অবশেষে চার দিনের যুদ্ধবিরতির অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েলি মন্ত্রিসভা। বন্দি বিনিময়ের শর্তে এই যুদ্ধবিরতির অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে নতুন এই চুক্তি অনুযায়ী ইহুদি অধ্যুষিত ইসরায়েলকে মানতে হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের বেশকিছু শর্ত।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে গাজায় চার দিন যুদ্ধবিরতির যে প্রস্তাব দিয়েছিল হামাস, তা আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করেছে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা। সরকারি একটি সূত্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভায় ৫০ জন জিম্মির বিনিময়ে চার দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবটি উত্থাপন করার পর সভার অধিকাংশ সদস্যই সেটির পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, গাজার উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস চুক্তির শর্তগুলো প্রকাশ করেছে। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীটি নিশ্চিত করেছে, উভয় পক্ষ থেকে অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি চার দিন স্থায়ী হবে।

আজ বুধবার (২২ নভেম্বর) টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে হামাস বলেছে, চুক্তি অনুযায়ী এ সময়ের মধ্যে:

* গাজা উপত্যকার সব এলাকায় সামরিক যান চলাচলসহ সব ধরনের সামরিক তৎপরতা বন্ধ রাখবে ইসরায়েল।

* চিকিৎসা সরঞ্জাম ও জ্বালানি সরবরাহসহ কয়েক শ’ মানবিক ত্রাণবাহী ট্রাককে গাজায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।

* যুদ্ধবিরতিকালীন চার দিন স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মোট ৬ ঘণ্টা ড্রোন উড়ানো বন্ধ থাকবে।

* যুদ্ধবিরতি চলাকালীন ইসরায়েল ‘গাজা উপত্যকার সব অঞ্চলে কাউকে হামলা বা গ্রেপ্তার না করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’ থাকবে।

* সালাহ আল-দ্বীন সড়কে চলাচলের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।

* ইসরায়েলি কারাগারে বন্দী ১৫০ জন ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুকে মুক্তি দিতে হবে।

এদিকে জিম্মিমুক্তির সমঝোতা হলেও যুদ্ধ একেবারে না থামানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, ‘যুদ্ধাবস্থায় আছে ইসরায়েল; এটি অব্যাহত থাকবে’।