আগামীকাল (শনিবার) বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ ঘিরে বাস, লঞ্চসহ সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় কার্যত সারাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে বরিশাল। গতকাল (বৃহস্পতিবার) থেকেই বন্ধ হয়ে গেছে ভোলা-বরিশাল রুটে লঞ্চ ও স্পিডবোর্ট চলাচল। আজ (শুক্রবার) থেকে ৪৮ ঘন্টার পরিবহন ধর্মঘট মুরু করেছেন বাস মালিকরা। বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় সকাল ৬টা থেকে বাস ধর্মঘট চলছে। একইসাথে থ্রি হুইলার চলাচলও বন্ধ করে দিয়েছেন শ্রমিকরা।

আগের বিভাগীয় সমাবেশগুলোর অভিজ্ঞতায় এমন পরিস্থিতির জন্য আগে থেকেই প্রস্তুত ছিলেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। শনিবার সমাবেশ হলেও সেজন্য আগেই বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতেই সমাবেশস্থলে পৌঁছেছেন বহু নেতাকর্মী। মাটিতে ত্রিপল আর বস্তা বিছিয়ে রাত কাটিয়েছেন তারা।

পরিবহন ধর্মঘটের ডাকার পর বিভাগের বিএনপির নেতা-কর্মীদের সমাবেশে যোগদানের জন্য উপযুক্ত সময় ছিল বৃহস্পতিবার। এই দিন কয়েক হাজার নেতাকর্মী বিভিন্ন পরিবহনে করে বঙ্গবন্ধু উদ্যানে এসে উপস্থিত হন। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে বরগুনা থেকে ৪১টি ট্রলার নিয়ে বরিশালের উদ্দেশে যাত্রা করেন দলের কর্মীরা। তাদের দাবি, সড়কপথে কোনোভাবেই বরিশাল যেতে না পেরে শেষে এ পথ বেছে নেন তারা।

বরিশাল থেকে অভ্যান্তরীণ ও দূর পাল্লার বাস, ইজিবাইক চলাচল আগেই বন্ধ ঘোষণা করেন মালিক-শ্রমিকরা। এরপর বুধবার রাতে বন্ধ করা হয় স্পিডবোট সার্ভিস। আর বৃহস্পতিবার সকালে ভোলা-বরিশাল রুটের লঞ্চ চলাচলও বন্ধ করা হয়। আর বিকেলে ভাড়ায় চালিত মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকার চলাচলও দু’দিন বন্ধ রাখার ঘোষণা আসে।

বৃহস্পতিবার সকালে ভোলা-বরিশাল রুটের লঞ্চ চলাচল মূলত পূর্বঘোষণা ছাড়াই বন্ধ হয়। লঞ্চ চলাচল বন্ধ হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় ব‌রিশাল-‌ভোলা রুটে যাতায়াতাকারী নিয়‌মিত যাত্রীদের। লঞ্চের মতো স্পিডবোট বন্ধেরও সঠিক কারণ জানা যায়নি।