রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনেক সুশৃঙ্খল হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ, উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখেছি। প্রশাসন প্রথম থেকে সহযোগিতা করছে। ফলে কোনোরকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
আজ (মঙ্গলবার) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সিসিটিভি পর্যবেক্ষণ মনিটরিং রুমে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
সিইসি বলেন, ভোট কেন্দ্রে প্রচুর ভোটারের উপস্থিতি দেখেছি। আশা করছি ৬৯ শতাংশ ভোট পড়েছে। একটা জিনিস খুবই সুখকর, ভোটাররা সংযমের সঙ্গে ভোটের লাইনে অপেক্ষা করছেন। ভোটের মাঠে মিডিয়াকে অবাধ সুযোগ দেওয়া হয়েছে। স্বচ্ছতার জন্য মিডিয়ার ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তারা (মিডিয়া) সঠিক তথ্য উপস্থাপন করছে।
রিটার্নিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসাররাও যথেষ্ট দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করছেন বলে জানান তিনি।
ইভিএমে ভোট দিতে জাতীয় পার্টির প্রার্থীর অভিযোগের বিষয়ে সিইসি বলেন, জাপার প্রার্থীর অভিযোগ ছিল একজনের ভোট দিতে অসুবিধা হয়েছিল। পরে ভোট দিতে পেরেছেন। প্রযুক্তিতে যেকোনো মেকানিক্যাল সমস্যা হতে পারে। ১ পার্সেন্ট ২ পার্সেন্ট হাতের আঙ্গুলের ছাপ মিলছে না। স্যানিটাইজার দিয়ে আঙ্গুল পরিষ্কার করে দেওয়া হচ্ছে। কারো কারো মিলেছে তবে অনেকের মেলেনি। যাদের ছাপ মিলেছে না তাদের বলেছি, পরে আসতে। ভোটার উপস্থিতি বেশি হওয়াতেই ভোট গ্রহণ ধীরগতিতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে এখন পর্যন্ত যে নির্বাচনগুলো হয়েছে তাতে সহিংসতা হয়নি। এটি একটি ইতিবাচক দিক। কমিশনের চেষ্টা আছে মানুষের আস্থা ফেরানোর। যেভাবে নির্বাচন হচ্ছে সেভাবে হতে থাকলে আগামী সাধারণ নির্বাচনেও মানুষের আস্থা থাকবে বলে আশা তার।
বিএনপি’র ছয়টি আসনে পুনঃনির্বাচনের বিষয়ে সিইসি বলেন, সে ছয়টি আসনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। অযথা অর্থ ব্যয়ের পক্ষপাতি নয় কমিশন।