হবু স্বামী ডুরেক ভেরেটের সঙ্গে ব্যবসায় মনোনিবেশ করতে রাজদায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন নরওয়ের রাজকুমারী মার্থা লুইস। হবু স্বামী ডুরেক একজন স্বঘোষিত আধ্যাত্মিক গুরু। তার সঙ্গে যৌথভাবে ওষুধ ব্যবসার কাজে মন দিতে চান তিনি।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজকুমারী মার্থা তার রাজ–উপাধি রেখেছেন। শুধু ব্যক্তিগতভাবে ব্যবসা করবেন বলে রাজদায়িত্ব ত্যাগ করেছেন। তাঁর হবু স্বামী ডুরেক ক্যানসারসহ চিকিৎসাক্ষেত্রের নানা বিষয় নিয়ে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।

নরওয়ের রয়্যাল হাউস থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাজকুমারী মার্থা লুইস বিকল্প ওষুধ ব্যবসায় মনোনিবেশ করবেন। এ কারণে রাজ পরিবারের সরকারি দায়িত্ব ও তার ব্যক্তিগত দায়িত্বের মধ্যে পার্থক্য স্পষ্ট করতে মার্থা রাজদায়িত্ব ত্যাগ করেছেন। তবে রাজা পঞ্চম হ্যারল্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মার্থার রাজ উপাধি আগের মতোই থাকবে। ৫১ বছর বয়সী রাজকুমারী মার্থা এর আগে সঠিকভাবে তার রাজদায়িত্ব পালন করেছেন।

মার্থার হবু স্বামী ডুরেককে একজন দুর্দান্ত মানুষ হিসেবে বর্ণনা করে রাজা পঞ্চম হ্যারল্ড বলেছেন, তার সঙ্গে থাকা খুব আনন্দের। রাজা বলেন, তার এর ভেতরে হাস্যরস থাকায় কঠিন সময়েও তার কারণে আমরা মন খুলে হাসতে পেরেছি। তার সঙ্গে আমাদের বোঝাপড়াটা দারুণ হয়েছে। যে কোনো বিষয়ে আমরা তাঁর সঙ্গে সহজেই দ্বিমত বা সম্মতি পোষণ করতে পেরেছি।

আরেক বিবৃতিতে রাজকুমারী মার্থা জানান, তিনি গবেষণাভিত্তিক জ্ঞানের গুরুত্বের বিষয়ে বেশ সচেতন। তিনি বিশ্বাস করেন, তার বিকল্প ওষুধ প্রচলিত চিকিৎসাব্যবস্থায় সহায়তা করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরিপূরক হয়ে উঠবে।

রাজকুমারী বলেন, একজন আলাদা ব্যক্তি ও রাজপরিবারের সদস্য হিসেবে নিজের মধ্যে পার্থক্য করা খুব জরুরি ছিল।

ডুরেক একজন স্বঘোষিত ‘শ্যামন’ (আধ্যাত্মিক গুরু)। হলিউডে ডুরেক ব্যাপক জনপ্রিয়। ডুরেকের সঙ্গে মার্থার সম্পর্কের খবর নরওয়ে জুড়ে ব্যাপক হইচই তৈরি করেছিল। ডুরেকের আগের পাঁচ প্রজন্মও শ্যামন ছিলেন।

ডুরেক ভেরেটের নিজস্ব ওয়েবসাইটে তিনি নিজেকে ‘বর্তমান যুগের স্বপ্নদর্শী’ হিসেবে বর্ণনা করে বলেছেন, তিনি ‘আধ্যাত্মিকতাকে রহস্যময় করে তোলেন’। তিনি মার্কিন অভিনেত্রী গ্যায়নেথ পালট্রো ও নিনা দোবরেভকে তার কাজ দিয়ে প্রভাবিত করেছিলেন।

ডুরেক ভেরেট আফ্রো-আমেরিকান। তিনি নিজেকে ‘ষষ্ঠ প্রজন্মের আধ্যাত্মিক গুরু’ হিসেবে পরিচয় দেন। তার দাবি, তিনি মৃত ব্যক্তিদের থেকে পুনরুত্থিত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রে নাইন-ইলেভেন হামলার দুই বছর আগেই তিনি এর পূর্বাভাস দিয়েছিলেন।

এক সময়ে নরওয়ের রাজপরিবারের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে থাকলেও মার্থা এবং ডুরেকের সম্পর্ক প্রকাশ্যে আসার পর থেকে সেই জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েছে।