আজ আষাঢ় মাসের দ্বিতীয় দিন। ‘আষাঢ় এলো বৃষ্টি এলো না’ এমন আক্ষেপ ছিল রাজধানীবাসীর। তবে শুক্রবার (১৬ জুন) দিনভর ভ্যাপসা গরমের পর রাজধানীতে ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে। সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে রাজধানীর পল্টন, মতিঝিল, গুলিস্তান, বাড্ডা, রামপুরা, মগবাজার, গুলশান, বারিধারা, হাতিরঝিল, মুগদা, খিলগাঁও, বাসাবো, যাত্রাাবাড়ীসহ প্রায় প্রতিটি এলাকায় এই ঝড়-বৃষ্টি হয়। তীব্র গরমে ঝুম বৃষ্টিতে স্বস্তি ফিরে আসে নগরীতে।

আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেন, শুক্রবার ঢাকার বিভিন্নস্থানে বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির গতিপথ ছিল টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ থেকে আসা। ফলে এটি বর্ষার বৃষ্টি না, এতে তাপমাত্রা কমবে না।

এদিকে দেশের উত্তরাঞ্চলে দাবদাহ বয়ে যাওয়া অঞ্চল বাড়ার সঙ্গে এর প্রখরতাও বাড়ছে। অন্যদিকে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বিগত কয়েদিন থেকেই ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বর্তমানে দেশে দুটি মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় তাপমাত্রার এমন তারতম্য দেখা দিয়েছে। এই আবহাওয়া আরো দুদিন অব্যাহত থাকতে পারে।আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, দেশের রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া জেলাসমুহের ওপর দিয়ে তীব্র দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে। খুলনা বিভাগসহ রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং টাঙ্গাইল, ফরিদপুর ও দিনাজপুর জেলাসমূহের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

শনিবারের পূর্বাভাসে বলা হয়, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের ৭৬ শতাংশ থেকে শতভাগ স্থানে দমকা ঝড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া রংপুর, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের ৭৫ শতাংশ জায়গা পর্যন্ত এবং খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের ২৫ শতাংশ স্থান পর্যন্ত এ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের কোথাও কোথাও ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টি হতে পারে।

আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন আরো বলেন, বর্তমানে দেশে দুটি সিস্টেম বহাল আছে। দেশের দক্ষিণাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চল দুই দিক থেকেই বাতাস প্রবেশ করছে।