রাজধানীর প্রবেশমুখে বিএনপির অবস্থান এবং যুবলীগের সমাবেশের ঘোষণার পর শুক্রবার রাত থেকেই সতর্ক অবস্থান নেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এছাড়া বিএনপির কর্মসূচি ঘিরে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ‘সতর্ক পাহারায়’ মাঠে রয়েছেন আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের  নেতাকর্মীরা।

সকালে রাজধানীর বাবুবাজার ব্রিজের প্রবেশ মুখে বিএনপি অবস্থান নেওয়ার কথা থাকলেও এর বদলে  ধোলাইখাল মোড়ে অবস্থান নেয় দলটি। সড়কে অবস্থান নিয়ে সরকার বিরোধী নানা স্লোগান দেন তারা। এসময় পুলিশ বাধা দিলে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়।

সংঘর্ষের এক পর্যায়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের সরিয়ে দিতে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ। জবাবে ইট-পাটকেল ছোড়েন অবস্থানকারীরা। এতে পিছু হটেছে পুলিশ। অন্যদিকে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।

উত্তরায় জড়ো হওয়া নেতাকর্মীদেরকে ধাওয়া দিয়েছে পুলিশ। উত্তরার বিএনএস সেন্টারের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশ টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

বেলা ১১টা থেকে যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলে সড়কে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। সড়কে অবস্থান নিয়ে নানা স্লোগান দেন তারা। একপর্যায়ে অ্যাকশনে যায় পুলিশ।

বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। শুরু হয় দু’পক্ষের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া।

এদিকে নয়াবাজার, গাবতলী, উত্তরা এলাকার বিএনপির অবস্থান কর্মসূচির বিভিন্ন স্পট থেকে অন্তত অর্ধশতাধিক বিএনপি কর্মীকে আটক করা হয়েছে।

বিএনপির কর্মসূচি ঘিরে সকাল থেকেই সতর্ক পাহারায় রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বিএনপি যেসব এলাকায় অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছে—সেসব এলাকায় জলকামান, সাঁজোয়া যান নিয়ে পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন। এ ছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পুলিশকে টহল দিতে দেখা গেছে। যাকে সন্দেহ হচ্ছে—তল্লাশি করা হচ্ছে। বিএনপির এই অবস্থান কর্মসূচি ঘিরে সতর্ক পাহারায় রয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগও।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক শুক্রবার রাতে বলেছেন, রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে রাজধানীর প্রবেশপথ আটকালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, কাউকে ঢাকার প্রবেশপথ আটকাতে দেওয়া হবে না। যদি কেউ আটকায় তাদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব।