টানা কয়েকদিনের ভ্যাপসা গরমের পর বৃষ্টি নেমেছে ঢাকায়। এতে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছেন রাজধানীবাসী। সকাল সাড়ে ছয়টা থেকে টানা ২ ঘণ্টা বৃষ্টি হয়। তবে এতে বিপাকে পড়ে অফিসগামী লোকজন। বৃষ্টির কারণে রাস্তায় যানবাহনও ছিল তুলনামূলক কম। এ কারণে বৃষ্টিতে ছাতা মাথায় রাস্তায় অপেক্ষা করতে দেখা গেছে অনেক অফিসগামী মানুষদের। আবার বাসের দেখা মিললেও ভিড়ের কারণে অনেকে বাসে উঠতে পারছিলেন না।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, সিলেট ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণও হতে পারে।

মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে বলেও আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়।

আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ায় সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তি থাকতেবে। রাজশাহী অঞ্চলসহ রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, যা অব্যাহত থাকতে পারে। মঙ্গলবার রাজধানী ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছারা রাঙ্গামাটি, নোয়াখালীর হাতিয়া ও চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। পাশাপাশি রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, মৌসুমি বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর বাড়তি অংশ উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।

এদিকে, বৃষ্টি স্বস্তি দিলেও রাস্তাঘাটে পানি জমে যাওয়া সকালে ভোগান্তিতে পড়েন কর্মজীবী মানুষ।