মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে আজও রাজধানীসহ দেশের বিভিন্নস্থানে বৃষ্টি হচ্ছে। আকাশ সকাল থেকেই মেঘে ঢেকে আছে। কিছুক্ষণ থেমে থেমে হচ্ছে বৃষ্টি। কখনো বেশ জোরে, আবার কখনো গুঁড়িগুঁড়ি। কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে বঙ্গোপসাগর ও উপকূলীয় এলাকার নদ-নদীতে পানি বেড়ে ঝালকাঠি, বাগেরহাটের শরণখোলা ও পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

জোয়ারের সময় তিন থেকে চার ফুট পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে সুন্দরবনের নিচু এলাকা। ঝোড়ো হাওয়ার আশঙ্কা থাকায় আজও চট্টগ্রাম, মোংলা, পায়রা সমুদ্রবন্দরসহ কক্সবাজারকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

এছাড়াও দেশের সাত জেলার উপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শুক্রবার দেশের নদীবন্দর সমূহের জন্য ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে, আবহাওয়া অধিদপ্তরের ২৪ ঘণ্টার সর্বশেষ পূর্বাভাসে দেশের আট বিভাগের বেশকিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; রংপুর, ময়মনসিংহ ও খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।