অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর দেশে ফিরবেন আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনা। এমনটাই জানিয়েছেন তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। তবে শেখ হাসিনা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কি না তা স্পষ্ট করেননি তিনি। শুক্রবার (৯ আগস্ট) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে দেশ থেকে পালানোর পর, গতকাল অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নিয়েছেন নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তবে এরইমধ্যে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন, হাসিনাপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। বলেছেন, দেশে নির্বাচন হলে তার মা দেশে ফিরবেন।

এর আগে, হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরপরই এক ভিডিওবার্তায় জয় বলেছিলেন, শেখ পরিবারের আর রাজনীতিতে আসার সম্ভাবনা নেই।

সাবেক প্রধানমন্ত্রীর এই তথ্য উপদেষ্টা বলেন, যেভাবে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা হচ্ছে তাতে তিনি রাজনীতিতে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এক টেলিফোন সাক্ষাৎকারে জয় বলেন, দলের নেতাকর্মীদের বাঁচাতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

জয়ের ভাষ্য, আমার কখনও রাজনীতিতে আসার পরকল্পনা ছিল না। আমি ওয়াশিংটন ডিসিতে স্থায়ীভাবে বসবাস করি। আমার মায়েরও এবার রাজনীতি থেকে বিদায় নেয়ার কথা ছিল। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর যেভাবে হামলা করা হচ্ছে, তাতে আমাকে সম্মুখ সারিতে আসতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে বড় এবং জনপ্রিয় দল। আমি বিশ্বাস করি দল আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে এবং বিপুল ভোটে বিজয়ও লাভ করতে পারে।

শেখ হাসিনা কোথাও রাজনৈতিক আশ্রয় খুজঁছেন না দাবি করে জয় বলেন, এই মুহূর্তে তিনি (হাসিনা) ভারতে অবস্থান করছেন। তবে অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনের ঘোষণা দেয়া মাত্রই আমার মা দেশে ফিরে যাবেন। তার মাকে এতো কম সময়ের মধ্যে ভারতে আশ্রয় দেয়ার জন্য দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেদ্র মোদীকেও ধন্যবাদ জানান জয়।

উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থার সংস্কার নিয়ে কয়েক সপ্তাহব্যাপী বিক্ষোভে ৪০০ জনেরও বেশি লোক নিহত হওয়ার পর গত সোমবার ৭৬ বছর বয়সী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাকে ৪৫ মিনিটের আলটিমেটাম দেওয়ার পর তিনি ঢাকা থেকে পালিয়ে ভারতে চলে যান। সেখান থেকে যুক্তরাজ্যে আশ্রয় নিতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে।

তবে শেখ হাসিনাকে আশ্রয় না দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে যুক্তরাজ্য। যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, তাদের যে অভিবাসন আইন রয়েছে; সেখানে কোনো ব্যক্তির যুক্তরাজ্যে ভ্রমণ করে এসে রাজনৈতিক বা সাধারণ আশ্রয় নেওয়ার বিধান নেই।