সড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধসহ ১০ দফা দাবিতে রাজশাহী বিভাগে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) সকাল রাজশাহী পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মতিউল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত শনিবার নাটোরে বিভাগীয় পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভায় ১০ দফা দাবি আদায়ে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিয়ে ধর্মঘটের ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে বিএনপি নেতাকর্মীদের অভিযোগ, আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীতে তাদের বিভাগীয় সমাবেশে যেন নেতা কর্মীরা উপস্থিত হতে না পারে, এ কারণে ধর্মঘট।

রাজশাহী বিভাগে পরিবহন মালিকদের ধর্মঘটের  দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ সংশোধন করা, সড়ক মহাসড়কে থ্রি-হুইলার, লসিমন, করিমন, ভটভটি, সিএনজি, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করা, পরিবহনে ব্যবহৃত জ্বালানি তেল ও যন্ত্রাংশের অস্বাভাবিক মূল্য হ্রাস করা ও করোনাকালীন সময়ে প্রদানকৃত ট্যাক্স মওকুফ করা, পরিবহন সংক্রান্ত ফি অস্বাভাবিক হার বৃদ্ধি বন্ধ করা, চালক লাইসেন্সের জটিলতা বন্ধ করা, পুলিশি হয়রানি বন্ধ করা, উপজেলা পর্যায় থেকে বিআরটিসি চলাচল বন্ধ করা, সড়ক ও মহাসড়কে হাটবাজার আয়োজন বন্ধ করা ও চলমান বাজার উচ্ছেদ করা, যাত্রী উঠা-নামানোর পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা, প্রতিটি জেলায় ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ ও সব রকম ওভারলোড পরিবহন বন্ধ করা এবং সরকারি নির্দেশ মোতাবেক দূরপাল্লার গাড়ী চালকদের নির্ধারিত স্থানে বিশ্রামাগার নির্মাণ করা।

বগুড়া জেলা বাস মিনিবাস ও কোচ পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম জানান, ১০ দফা দাবি মানা হয়নি। এ কারণে পহেলা ডিসেম্বর সকাল ৬টা থেকে রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলায় সব ধরনের যানবাহন চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সাথে ঢাকাগামী বাসও বন্ধ থাকছে।

তবে বিএনপির নেতারা অভিযোগ করে বলছেন, বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশকে রুখে দিতে পরিকল্পিতভাবে এই ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। সকল বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে সমাবেশ সফল করা হবে বলে জানান দলটির নেতারা।

বগুড়া জেলা বাস মিনিবাস ও কোচ পরিবহন মালিক সমিতির কার্যালয় থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৬ নভেম্বর সকাল ১০টায় নাটোরের কানাইখালী আরপি সেন্টারে রাজশাহী বিভাগীয় সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক যৌথ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভা থেকে ১০ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়।