প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে ভোটের মাধ্যমেই সরকার গঠন হবে, অস্ত্রের মাধ্যমে। তিনি বলেন, অস্ত্র হাতে নয়, রাতের অন্ধকারেও নয় ভোটের মধ্য দিয়ে আগামী সরকার গঠন হবে। শুক্রবার (১৭ই নভেম্বর) বেলা ৩টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভায় তিনি একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের লক্ষ্য জনগণের ক্ষমতায়ন। সরকার সকল অর্থনৈতিক পরিকল্পনা তৃণমূলের মানুষের কথা ভেবে করেছে। সব খাতকে সমান গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে সরকার।

আওয়ামী লীগ নেত্রী বলেন, দীর্ঘ দিন ক্ষমতায় থাকার পর মানুষের কাছে জনপ্রিয় থাকা কঠিন। তবে পরিকল্পিত পরিকল্পনার জন্য আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। এই ১৫ বছরে দেশে বড় পরিবর্তন এসেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনের উপর বর্বর হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। বাংলাদেশে যারা অগ্নি সন্ত্রাস করে মানুষ পুড়িয়ে মারে, অস্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে তারা কোন প্রতিবাদ জানাচ্ছেনা এই হামলার বিষয়ে।

তিনি বলেন, বিএনপির শাসন আমলে মানুষ ভোট দিতে পারেনি, ভোট চুরির অপরাধে বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। ২০০১ সালে দালালি করে ক্ষমতায় আসার পরে জঙ্গি, সন্ত্রাস, দুর্নীতির রাষ্ট্র বানিয়েছিলো। ভোট চুরি করলে মানুষ মেনে নেয় না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন চায় না। তারা নির্বাচন করতে দেবে না বলে আগেও আগুন দিয়েছে এখনো দিচ্ছে। আগুন সন্ত্রাস ও আগুন নিয়ে খেলা দেশের মানুষ মেনে নেবে না। দেশের মানুষ তাদের প্রতিহত করবে। দেশের মানুষ নির্বাচন বানচাল করতে দেবে না।

বিএনপি জোট গতকালও বাসে আগুন দিয়েছে। আগুন নিয়ে খেলা মানুষ মেনে নিবে না। নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না। মানুষ যাকে ভোট দিবে সেই ক্ষমতায় আসবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, দেশে অনেকেই ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু দেশের মানুষের জন্য কিছুই করেনি। আওয়ামী লীগ বাদে যারা ক্ষমতায় ছিল তারা শ্রমিকদের জন্য কী করেছে? যা করেছে আওয়ামী লীগ সরকার করেছে। আওয়ামী লীগের হাত ধরেই দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে।